নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের পরিচালনাকারী সংগঠন ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) এর তালিকাভুক্ত যে কোন ক্লাবের মালিকানা কিংবা নাম পরিবর্তনের এখতিয়ার সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষের। এফিডেভিটের মাধ্যমে সিসিডিএমকে বিষয়টি জানিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুমোদন নিতে হয় শুধু সংশ্লিষ্ট ক্লাবকে। তবে এই প্রথম ঘটেছে ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা। সর্বশেষ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ থেকে প্রথম বিভাগে অবনমিত ২টি ক্লাব ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) এবং কলাবাগান একাডেমিকে নিলামে বিক্রি করেছে বিসিবি। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে প্লেয়ার্স পেমেন্টের শর্ত পালন করতে ব্যর্থ ক্লাব দু’টিতে ক্রিকেটারদের দাবিকৃত অর্থ পরিশোধে বিসিবি’র দেয়ার অনুরোধে কাজ না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে গত মাসের (অক্টোবর) শেষ দিকে নিলামে তুলে কলাবাগান একাডেমিকে গাজী গ্রæপের কাছে এবং সিসিএসকে বেক্সিমকোর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবি’র সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন।
কলাবাগান একাডেমি খেলোয়াড়দের সম্মানীর প্রথম কিস্তির ৩০ শতাংশ পরিশোধ করলেও প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ শেষ হওয়ার ৫ মাস পরেও অবশিষ্ঠ ৬০ শতাংশ অর্থ ক্রিকেটারদের হাতে দিতে পারেনি বুঝিয়ে। সেখানে বিসিবি’র হিসাব বিভাগ অনুযায়ী মোট সম্মানীর মাত্র ৯২ শতাংশ বকেয়া রেখেছে সিসিডিএম। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে প্লেয়ার্স ড্রাফটে বিক্রিত ক্রিকেটারদের পাওনা ক্লাব বুঝিয়ে দিতে না পারলে ব্যাংক গ্যারান্টার হিসেবে সেই দায়িত্বটা পালন করার কথা বিসিবি’র এবং সে দায়িত্ব যথারীতি পালনও করেছে। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কলাবাগান একাডেমি এবং সিসিএস’র বকেয়া থাকা প্লেয়ার্স পেমেন্টের মধ্যে ১ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ১০০ টাকা বিসিবি’র তহবিল থেকে ক্রিকেটারদের হাতে বুঝিয়ে দেয়ায় পর এই পরিমাণ অর্থ ফেরত পাওয়ার কোন সম্ভাবনা না দেখে ক্লাব দু’টিকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সিইওÑ ‘বিসিবি’র অ্যাকাউন্ট থেকে যে অর্থ সিসিএস এবং কলাবাগান একাডেমির ক্রিকেটারদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, তা পরিশোধে চিঠি দেয়া হয়েছিল ক্লাব দু’টিকে। তাদের উত্তরও পেয়েছি। তবে তারা চিঠির উত্তরে যা বলেছে, ওই উত্তরে বোর্ড সন্তুষ্ট হতে পারেনি।’
তবে প্লেয়ার্স ড্রাফটের শর্তাবলীতে কোথাও ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধে ক্লাব ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ক্লাবকে নিলামে তুলে বিক্রি করার কথা কিংবা সিসিডিএম’র কোন বিধিতে সুস্পষ্ঠভাবে না থাকায় ক্লাব বিক্রির এই প্রক্রিয়াকে বিধি বর্হিভুত হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিসিএস’র সাধারণ সম্পাদক এবং সিসিডিএম’র সাবেক সদস্য সচিব ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী নিকুÑ ‘আমরাও শুনেছি ক্লাবটি বিক্রি করেছে বিসিবি। তবে সিসিডিএম কিংবা প্লেয়ার্স ড্রাফটের কোথাও এমন কঠোর শর্তের উল্লেখ নেই। গত ২৪ আগস্ট বিসিবি’র পক্ষ থেকে সিসিএস’কে একটা চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাতে বিসিবি’র অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকা দেয়ার কথা অবহিত করানো হয়েছে। এই পরিমাণ অর্থ ৭ দিনের মধ্যে পরিশোধে অনুরোধ করা হয়েছে। অথচ, ওই চিঠিটি ক্লাব বুঝে পেয়েছি ২৯ আগস্ট। সেই চিঠির উত্তরে বিসিবি’র বার্ষিক অনুদান সাড়ে ৭ লাখ টাকা এবং বিপিএলের আয় থেকে সিসিডিএম প্রতিশ্রæত অর্থ ২০ লাখ টাকা ছাড়াও ট্রান্সপোর্ট খাতে যে আর্থিক বরাদ্দ আছে তা বিসিবিকে সমন্বয় করে অবশিষ্ট অর্থ কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা চেয়েছিলাম। বিসিবি যে হিসাব দিয়েছে, সেই হিসেবেও গরমিল আছে। মনে হচ্ছে, যে সব ক্রিকেটারদের পেমেন্ট দিয়েছি, তারা বিসিবি থেকেও পেয়েন্ট নিয়েছে। এই বিষয়টি পর্যন্ত বিসিবি আমার সঙ্গে বসে সুরাহা করেনি।’
ক্লাব দু’টি বিক্রি করার ক্ষেত্রে আইনগত কোন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবি সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজনÑ ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনজীবিদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আইনী কোন সমস্যা নেই বলে তারা জানানোর পর যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে নিলামে দল দু’টিকে তোলা হয়েছে।’ প্লেয়ার্স পেমেন্টে কলাবাগান একাডেমির বকেয়া থাকা অর্থের মধ্যে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং সিসিএস’র ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকা ক্রিকেটারদের হাতে বুঝিয়ে দিয়ে ক্লাব দু’টিকে নিলামে বিক্রি করেছে বিসিবি। অথচ, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব যেখানে এখনো ক্রিকেটারদের পাওনা পারিশ্রমিকের মধ্যে ৯৮ লাখ টাকা রেখেছে বকেয়া, এতো বড় খেলাপী হয়েও প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের সর্বশেষ আসরে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল ভিক্টোরিয়াকে নিলামে তোলেনি বিসিবি!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।