Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিলখানা ট্রাজেডি : হত্যাকান্ডের সুষ্ঠুু বিচারের দাবি পরিবারের কুলাউড়ার শহীদ লে. কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমান শুধুই স্মৃতি

| প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মানজুরুল হক, কুলাউড়া থেকে : পিলখানা ট্রাজেডির ৮ বছর পূর্ণ হল গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার। ২০০৯ সালের এই দিনে পিলখানার সদর দপ্তরের দরবার হলে বিডিআর বিদ্রোহে যে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন তাদের মধ্যে লে. কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমান অন্যতম। বিদ্রোহের প্রায় ৫৮ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করা হয় পিলখানার সদর দপ্তরের ভেতরে একটি গণকবর থেকে। লে. কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমান (দোয়েল) কুলাউড়া উপজেলার পৌরশহরের বিহালা গ্রামের ডাঃ শফিকুর রহমান ও লুৎফুন্নাহারের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, লে. কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমান দোয়েল বিডিআর সদর দপ্তরে কোয়ার্টারে পরিবার নিয়ে থাকতেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার দরবার হলে বিদ্রোহকালে তিনি প্রথমে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী শারমিন নিশাত উর্মি জানান, ঘটনার দিন বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে লে. কর্ণেল দোয়েল মুঠোফোনে তাঁকে বলেন, ‘আমি ভালো আছি চিন্তা করো না’। এ কথা বলে তিনি লাইন কেটে দেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। শারমিন জানান,এর কিছু সময় পর বিডিআর জওয়ানরা তাঁদেরকে আটক করে ফেলে। পর দিন বৃহস্পতিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে তখন বলেছিলেন, ‘ছেলেরা এখানো তাদের আব্বুর কথা বলে শুধুই কাঁদে। তাঁদের দুই ছেলে ইশফাক ও ইত্তেসাফ রাইফেলস্ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে থেকে মাধমিক পাস করে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে।
ওই নারকীয় হত্যাকান্ডের বিচার ব্যবস্থায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত লে. কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমান (দোয়েলের) মা লুৎফুন্নাহার (৭০) হাউমাউ করে কেঁদে শনিবার দুপুরে তখন বলেন, ‘আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই’। তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডের ঘটনাটি পরিকল্পিত। ঘটনার পরিকল্পনাকারী ও ইন্ধনদাতারা আজো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে হলে তাদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
এ দিকে জেলার কুলাউড়ায় শহীদ লেঃ কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমানের স্মরণে পৌরশহরের বিহালা গ্রামের তার বাড়ির সামনের সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে শহীদ লেঃ কর্ণেল সাজ্জাদুর রহমান সড়ক। এই পথে চলতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন এখনো শহীদ সাজ্জাদের অতীত স্মৃতি রোমন্থন করেন গভীর শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিলখানা

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ