পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইতিহাসের নিষ্ঠুর ও নির্মম হত্যাকান্ডের ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আক্ষেপ রয়েছে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের মনে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পিলখানায় ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞ নিছক কোনো বিদ্রোহের ঘটনা ছিল না। এটি একটি পরিকল্পিত টার্গেট কিলিং। আর এই নৃশংস হত্যাকান্ডের পেছনে কারা কলকাটি নেড়েছে তা জানতে চান তারা।
শহীদ পরিবারের স্বজনরা বলছেন, যারা এখন বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন, তারা আসলে নেপথ্যের কারিগর নয়। যারা এ ঘটনার আসল কারিগর তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত শহীদ পরিবারের সদস্যদের মনে শান্তি আসবে না। গতকাল শুক্রবার সকাল বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য।
নিহত কর্নেল কুদরত-ই-এলাহীর ছেলে সাকিব রহমান বলেন, তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। এই হত্যাকান্ডের পেছনে কারা ছিল, তাদের শনাক্ত করা হলো না। আজকে যাদের বিচার হচ্ছে, তাদের যদি ফাঁসিও হয়, আমি বলব এটা রেগুলার বিচার কার্যক্রম। যেকোনো ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রেই সেটা হওয়ার কথা। এখানে কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা পর্দার আড়ালেই রয়ে গেল। ষড়যন্ত্রকারীদের বের করে আনতে পৃথক সুপ্রিম জুডিশিয়ারি কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি। এ দাবি শহীদ পরিবারগুলো করে আসছে বলে জানান সাকিব।
তিনি বলেন, আমরা শহীদ পরিবার থেকে বলেছিলাম, নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে জুডিশিয়ারি ইনকোয়ারি কমিশন গঠন করতে। এই কমিশন ইনভেস্টিগেইট করবে। এমনকি আগে আর্মি ও সিভিল যেই তদন্ত করেছে সেগুলোকে দেখবে। দেখে পেছনের ষড়যন্ত্রকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করবে। এটাই মূল চেষ্টা হওয়া উচিত ছিল। আজকে যেটার রায়ে হয়েছে, এতে আপিল বিভাগে অনেক ফাঁসি বহাল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। ফাঁসি বহাল রাখল এবং ফাঁসি দিয়ে দিল, তাহলে কী হবে? একটা বড় অংশকে যখন ফাঁসি দিয়ে দিচ্ছেন, তখন অনেক তথ্য ওখানেই চলে যাবে। এরপর পেছনে কারা ছিল তা শনাক্ত করা ডিফিকাল্ট হয়ে যাবে।
সাকিব বলেন, হাইকোর্টের রিকমেন্ডেশনে একটা পয়েন্ট ছিল যে, দে আর কনস্পেরিটরস। এর পেছনে যে কনস্পেরিটরস আছে, তা নিয়ে হাইকোর্টেরও ডাউট নাই। কিন্তু কে বা কারা সেই জিনিসটা আমরা এখনো জানি না। একেকটা রাজনৈতিক দল তাদের মতাদর্শ প্রকাশ করে।
একই দাবির কথা জানিয়েছেন নিহত মেজর মমিনুল ইসলামের ভাই ডা. আল মামুন শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ১৩ বছরেও এই নারকীয় হত্যার বিচার শেষ হয়নি। আমরা দ্রæত সময়ের মধ্যে এই বিচারের শেষ দেখতে চাই। আমরা এই ১৩ বছরেও জানতে পারিনি, কারা এই হত্যার পেছনে ছিল। ষড়যন্ত্র করেছিল কারা? তাদের চিহ্নিত করে বিচার করার দাবি জানাচ্ছি।
কারা হত্যার পেছনে ছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেজর মোস্তফা আসাদুজ্জামানের বড় বোন হোসনে আরা পারভীন। তিনি বলেন, আমরা কিছু জানি না। কারা করেছে? আমরা জানতে চাই। আমরা যা হারিয়েছি, তা আর ফিরে পাব না। আমি ভাই হারিয়েছি, কেউ বাবা হারিয়েছে, কেউ সন্তান হারিয়েছে, কেউ স্বামী। আমরা যেন বলতে পারি, আমাদের প্রিয়জনকে হত্যার বিচার পেয়েছি। এতটুকুই চাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।