পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া, করিতে পারিনি চিৎকার বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছি ধিক্কার। শিল্পি হায়দার হোসেনের বিখ্যাত গানের এই লাইগুলো যেন পিলখানা হত্যাকান্ডের শিকার পরিবারগুলোর বাস্তব জীবনের একখন্ড প্রতিচ্ছবি। পিলখানা হত্যাকান্ডের এক যুগ চলে গেলেও স্বজনেরা রয়ে বেড়াচ্ছেন দুঃসহ স্মৃতি। অপেক্ষা করছেন কবে বিচার শেষ হবে। দেশের সূর্য সন্তানদের যারা হত্যা করেছে; তারা কিসের লোভে এমন কাজ করলো সে প্রশ্ন চোখে নিয়ে বেঁচে আছেন চ‚ড়ান্ত বিচারের অপেক্ষায় থাকা স্বজনরা। সন্তান হারা মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানেরা কবর জিয়ারত করতে এসে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে গতকাল কান্নায় ভেঙে পড়েন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রæয়ারি বিপথগামী বিডিআর সদস্যদের হাতে তৎকালীন বিডিআর ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া বেসামরিক ও বিডিআর সদস্যসহ নিহত হন আরও ১৭ জন। এই ১৭ জনের মধ্যে ডিজির স্ত্রীসহ সাতজন বেসামরিক ব্যক্তি, নয়জন বিডিআর সদস্য ও একজন সেনা সদস্য রয়েছেন।
ঘটনার পর বিস্ফোরকসহ অসংখ্য আলামত সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একদিন পর থানায় ২৮ ফেব্রæয়ারি লালবাগ থানার তখনকার ওসি নবজ্যোতি খিসা বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে ডিএডি তৌহিদসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েক হাজার বিডিআর সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর করা হয়।
পিলখানা হত্যাযজ্ঞ মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি আসামির মামলা হচ্ছে পিলখানা হত্যা মামলা। এ মামলার প্রক্রিয়া মানে মহাযজ্ঞ। তবে একজন আসামির হত্যা মামলাটি যে প্রক্রিয়ায় শুরু ও শেষ হয় এই মামলাটিও একই প্রক্রিয়াতেই শুরু ও শেষ হয়েছে। তবে এখানে অনেক মানুষ ও আলামত জড়িত রয়েছে। সেজন্য এ মামলাটি নিয়ে আমরা যারা সংশ্লিষ্ট ছিলাম সবাই সতর্ক ছিলাম, যেন কোনও নির্দোষ সাজা না পায়। আবার কোনও অপরাধী যেন ছাড়া না পায়।
তিনি বলেন, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটির তদন্ত কাজ শুরু করে ২০০৯ সালের ১ মার্চ। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। তদন্ত কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন সিআইডিসহ পুলিশের বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ২০০ কর্মকর্তা ও সদস্য। তিনি আরো বলেন, এ মামলায় প্রায় আড়াই হাজার বিডিআর সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তদন্ত শেষে সাড়ে ৮শ’ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় চার কিলোমিটার বিস্তৃত পিলখানার ভেতরে ৫৮টি ও বাইরে চারটি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছিলেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বিদ্রোহীরা বিভিন্ন ধরনের আড়াই হাজার অস্ত্রের ব্যবহার করেছিল। যার মধ্যে স্মল আর্মস পিস্তল ও রিভলবার ছাড়াও রাইফেল, এসএমজি ও এলএমজির মতো ভারী আর্মস ছিল। আলামত সংগহ করা হয় ৫ হাজার ৯৬৪টি। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ জুলাই পিলখানা হত্যা মামলায় ৮২৪ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি চার্জশিট দেয় সিআইডি। ২০১১ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেয় সিআইডি। পরে রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিশেষ এজলাস তৈরি করা হয়। ওই বিশেষ এজলাসে ২০১১ সালের ৫ জানুয়ারি দু’টি মামলারই বিচারকাজ শুরু করা হয় একসঙ্গে। এ মামলায় ৬৭৩ জনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। ২২ জন ম্যাজিস্ট্রেট এসব স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।
২০১১ সালের ১০ আগস্ট ৮৫০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়। ৬৫৪ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচশ’র কিছু বেশি সাক্ষ্য নিয়ে ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপর যুক্তিতর্ক ও আত্মপক্ষ সমর্থনসহ বিচারিক সব প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লেগে যায় প্রায় দুই বছর। পুলিশ, সামরিক বাহিনী ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাক্ষী ছিলেন, পুলিশের তখনকার আইজি নূর মোহাম্মদ, র্যাবের তখনকার ডিজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, বিমান বাহিনীর প্রধান শাহ্ মো. জিয়াউর রহমান, নৌবাহিনীর প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল মো. জহির উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক হুইপ ও বর্তমানে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও শেখ ফজলে নূর তাপসহ আরও অনেকে।
২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর পিলখানা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন তৃতীয় অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান। রায়ে ১৫২ জনকে মৃত্যুদন্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন ও ২৬২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। বেকসুর খালাস দেয়া হয় ২৭১ জনকে। আসামিদের মধ্যে বিডিআর সদস্য রয়েছেন ৭৮২ জন। বেসামরিক ব্যক্তি ২৩ জন। পলাতক ২০ জন। বিচার চলাকালে মারা গেছেন চার জন। জামিনে ছিলেন ১৩ জন।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর কিছু আসামি নিয়মিত আপিল, কিছু আসামি জেল আপিল ও সরকারের পক্ষ থেকেও একটি আপিল করা হয় উচ্চ আদালতে। ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়। এই আপিল মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার। আপিলের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে ১৮৫ জনকে। আর ১৯৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে ৪৯ জনকে।
তবে এক যুগ চলে গেলেও এখনো বিচারের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। গতকাল বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে জিয়ারতে আসা স্বজনরা এমনটাই জানিয়েছেন। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় নিহত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল কুদরাত এলাহী রহমান শফিকের ছেলে সাকিব রহমান জানান, ১২ বছর আগে পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের সময় সাকিবের বয়স ছিল ১৮; ঘটনার সময় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাভার ক্যাম্পাসে ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, পিলখানায় গোলাগুলির খবর যখন পেয়েছি, ভেবেছি হস্টেজ সিচুয়েশন জাতীয় কিছু। কোনো ডিমান্ড ফুলফিল হওয়ার পরে ছেড়ে দেয়া হবে। বুঝতে পারিনি এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হবে। ২৫ ও ২৬ তারিখ জানতে পারিনি বাবার পরিণতি। ২৭ ফেব্রæয়ারি সিএমএইচে লাশ দেখে নিশ্চিত হই বাবা আর নেই।
সাকিব বলেন, রায় এখনও কার্যকর হচ্ছে না, অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। আমার দাবি, একটি জুডিশিয়াল এনকয়ারি কমিশন গঠন করা হোক। তাহলে ষড়যন্ত্রকারী কারা এবং পর্দার আড়ালে কারা ছিল, সেসব বের হয়ে আসবে। কোর্টের কাজ হচ্ছে খুবই স্বাভাবিক। কোর্ট কি দেখবে খুন হয়েছে কি হয়নি। কিন্তু এর পেছনে কী মোটিভ ছিল, সে জিনিসগুলো তদন্ত ছাড়া বের হয়ে আসবে না।
কর্নেল কুদরাতের ৮৩ বছর বয়সী বৃদ্ধ বাবা হাবিবুর রহমানও বনানী কবরস্থানে এসেছিলেন। বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় অনেকটাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। হাবিবুর রহমান বলেন, ২৫ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। ছেলে মারা গেল ২০০৯ সালে। পুরো ১২ বছর চলে গেল- লোকে জিজ্ঞেস করে- কী হয়েছে? বিচার পেয়েছ? দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, মানুষের বিচার পাইনি। ১২ বছর হয়ে গেল; এখন আল্লার বিচারের অপেক্ষা করছি। বিচার যদি করতে হয় আল্লাহই করবেন। কারণ আমার সন্তান আমার জানা মতে সম্পূর্ণ নির্দোষ ও নিরাপরাধ।
মৃত্যুর দেড়মাস আগে কুদরাত দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন জানিয়ে তার বাবা বলেন, কেন মারা হল আমার সন্তানকে, তা আমাদের জানা নেই। আমরা কল্পনাও করতে পারি না এভাবে মারা যাবে কুদরাত।
শুধু সাকিব ও হাবিবুর রহমান নয়, তাদের মতো বাবা, স্বামী, ভাই, চাচা, মামা ও বন্ধু হারানো স্বজনরা বনানী কবরস্থানে তৎকালীন বিডিআর হত্যাকান্ডে নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে এসেছিলেন। পুরো কবরস্থান জুড়ে নেমেছিল নিরব কান্নার মিছিল। তারা নিরবে কেঁদেছেন, চোখের জল ঝড়িয়েছেন। অব্যক্ত কথাগুলো সৃষ্টিকর্তাকে জানিয়ে প্রিয় মানুষটির জন্য দোয়াও করেছেন। সকাল নয়টা থেকে শুরু হয় শ্রদ্ধা জানানো পর্ব। চলে বিকেল পর্যন্ত। একে একে স্বজনরা আসছেন আর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ বসছেন পাশেই তৈরি করা অস্থায়ী তাবুতে। তবে অধিকাংশ স্বজন দোয়া মোনাজাতের পর নিরবে করবস্থান ত্যাগ করেন। স্বজনরা জানান, তারা এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে নেপথ্যে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার চান। পাশাপাশি দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক সেই দাবিও রাখেন।
এছাড়াও বনানীতে সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্টের পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ও সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদ সেনাসদস্যদের সম্মানে স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ ছাড়াও গতকাল বিকেলে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে র্যাব ডিজি বলেন, আজ আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি তৎকালীন বিজিবির লিগ্যাল উইংস ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা শহীদ কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদের প্রতি, যিনি র্যাবের এডিজি অপারেশনস ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া র্যাবের ইন্টালিজেন্স শাখায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে র্যাবের সাহসী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে র্যাবের নাম উজ্জ্বল করেছেন। এ সময় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার সেই জঘন্যতম হত্যাকান্ডে নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে জানান র্যাব মহাপরিচালক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।