Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ষড়যন্ত্র ছিল হত্যাকান্ডের পেছনে : পিলখানা ট্র্যাজেডি সম্পর্কে ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৯ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাÐের পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। সেজন্য তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমাদের দুর্ভাগ্য এত বছর পরেও তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।

বনানী সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্রাজেডিতে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬শে ফেব্রæয়ারি গোটা জাতির জন্যে একটা অত্যন্ত শোকাবহ দিন। একই সঙ্গে একটা আতঙ্কেরও দিন। কারণ এই দিনে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাদের সেনাবাহিনীর ৫৬জন কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এটা শুধুমাত্র একটা বিদ্রোহ ছিল না, এর পেছনে সুদূরপ্রসারী একটা ষড়যন্ত্র ছিল। তার মূল কারণটা ছিল সেনাবাহিনীর মনোবলটা ভেঙে দেয়া।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য আজকে এত বছর পরেও তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এর পেছনে কারা ছিল, কেন এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তা আজও বের হয়নি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধেও আমাদের এত কর্মকর্তা শহীদ হয়নি। এ ঘটনায় ৫৬ জন কর্মকর্তা চলে যান। পরবর্তীকালে বিডিআর যে একটা ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত রক্ষা বাহিনী ছিল সেটা ভেঙে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। বিডিআরের হাজার হাজার সৈনিকের বিচার করা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে কারা সত্যিকার অর্থে সেটা এখনও আমরা পাইনি। সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল তারও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজকে এখানে এসেছি আমাদের জাতির গৌরব যারা দেশ ও জাতিকে রক্ষা করবার জন্য শপথ নিয়েছিলেন। এই বিদ্রোহের মধ্যে দিয়ে একটা মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাদের চলে যাওয়ার জন্য আমরা শোক প্রকাশ করতে এসেছি, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে এসেছি। আমরা বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করছি যারা চলে গেছেন আল্লাহ যেন তাদের বেহেশত নসিব করেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম, মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহি আকবর, কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) এম এম হাসান, মেজর (অব.) কোহিনুর আলম নুর, মেজর (অব.) আজিজ রেজা, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রেস ইউং সদস্য শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।

এছাড়াও কল্যাণ পার্টির চেয়রাম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ