বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় গতকাল (শুক্রবার) দুপুরের দিকে ছাত্রদলের কর্মী-সমাবেশে পুলিশী বাধা ও লাঠিচার্জকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল নেতাকর্মীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ১২ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেত্রকোনা জেলা শাখার উদ্যোগে দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সু-সংগঠিত ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নিয়মিত সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কেন্দুয়া উপজেলার আলীপুর স্কুল মাঠে শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশ শুরু করে। সমাবেশের প্রথম অধিবেশন শেষ হবার পর দুপুরের দিকে অতর্কিতে পুলিশ সমাবেশ স্থলে গিয়ে বাধা প্রদান এবং বেদড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মী রুখে দাঁড়ালে পুলিশের সাথে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ফলে আশপাশ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে নেত্রকোনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা ব্যাপী চলা সংঘর্ষে ৫ সাব-ইন্সেপেক্টরসহ ১২ পুলিশ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৮ জন ছাত্রদলের নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহতরা হচ্ছেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল হাসান আরিফ, ছাত্রদল নেতা ইয়াসির আরাফাত, রনি, ঝলমল, কেন্দুয়া থানার এস আই ছায়েদুল হক, এস আই সঞ্চয় সরকার, এস আই আল-আমিন, এস আই আবুল বাশার, এস আই আব্দুল কাদির, এ এস আই হেলাল, কনেষ্টবল সুমন, মামুনূর রহমান, আবুল খায়ের, সোহেল, জাকির হোসেন, আব্দুল কদ্দুছ। গুরুতর আহতদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্য আহতদেরকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় নেত্রকোনা জেলা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আগত ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডি আই জি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশ আহত হওয়ায় খবর পেয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ছুটে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেন্দুয়ায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশে পুলিশের অহেতুক বাধা এবং অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর বেদড়ক লাঠি চার্জ করায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল হাসান আরিফসহ কমপক্ষে আমাদের ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়। গ্রেফতার ও মামলার ভয়ে আহত ছাত্রদলের কর্মীরা সরকারি কোন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেনি। গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিকে তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী সাথে কথা বললে তিনি পুলিশের সাথে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছাত্রদলের হামলায় পুলিশের ১২ জন সদস্য আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।