বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মামুনুর রশীদ মামুন, বিশ্বনাথ থেকে : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা ও সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার দু’পক্ষের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত দু’দিন টান টান উত্তেজনা বিরাজ করার পর গতকাল সোমবার সকালে এলাকায় মাইকিং করে উভয়পক্ষ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ এড়াতে উভয় থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সংঘর্ষ চলাকালে থানা পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩৪ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ২ শত রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংর্ঘষকালে ৭ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত দেড়শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবৃদ্ধ ৩০ জনসহ প্রায় ৮০ জনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। খবর পেয়ে উভয় উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় লামাকাজী পয়েন্টে অটোরিকশা স্ট্যান্ডে মোহাম্মদিয়া ফার্মেসীর সামনে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রাখেন চালক আরশ আলী। এতে ফার্মেসি মালিক জালালাবাদ থানার আখতার হোসেন বাঁধা দিলে ওইদিন তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে গতকাল দুই উপজেলাবাসীর মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের বাঁধে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তবে এখনও কোন পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম বলেনÑ বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।