নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রায় এক যুগ ধরে মেলবোর্ন পার্ক শাসন করছেন নোভাক জোকোভিচ। এবারও তার হাতেই বছরের প্রথম গ্র্যান্ড সø্যামের শিরোপা দেখছিল টেনিস বিশ্ব। কিন্তু তাদের সবাইকে চমকে দিলেন উজবেকিস্তানের ডেনিস ইস্তোমিন। র্যাংকিংয়ের ১১৭ নম্বরে থাকা এ খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় করে দিলেন জোকোভিচকে! রেকর্ড সপ্তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের স্বপ্নও ভেঙে গেল সার্ব তারকার। ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের জন্য মেলবোর্ন পার্কে হার একেবারেই অপরিচিত। ২০১১ সাল থেকে মেলবোর্নে ৪১ ম্যাচ খেলে সার্ব তারকা গতকাল পেলেন দ্বিতীয় হারের তেতো স্বাদ। টানা সাতটি শিরোপা জিতে যেখানে ইতিহাস গড়তে এসেছিলেন, সেখানে তাঁকে বিদায় নিতে হলো দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই। ১২ বারের গ্র্যান্ড সø্যাম চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের বিপক্ষে উজবেক প্রতিপক্ষ তীব্র লড়াই করে গেছেন শুরু থেকেই। র্যাঙ্কিংয়ের ১১৭ নম্বর খেলোয়াড়ের কাছে ৪ ঘণ্টা ও ৫০ মিনিটের লড়াইয়ে ৭-৬ (১০/৮), ৫-৭, ২-৬, ৭-৬ (৭/৫), ৬-৪ সেটে হেরে গেছেন বিশ্বের ২ নম্বর টেনিস তারকা। রয় এমারসনকে পেছনে ফেলার স্বপ্নটা তাই অন্তত আরও এক বছর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে ১২টি গ্র্যান্ড সø্যাম জয়ী সার্বিয়ানকে।
ডেনিস ইস্তোমিন। নামটা খুব পরিচিত নয় টেনিস দুনিয়ায়। ৩০ বছর বয়সী উজবেকিস্তানের এই টেনিস খেলোয়াড় পেশাদারি টেনিসে শিরোপাই জিতেছেন মাত্র একবার। আর গ্র্যান্ড সø্যামে সাফল্য? ইউএস ওপেন ও উইম্বলডনে একবার চতুর্থ রাউন্ডে পা দিয়েছিলেন, এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দুবার তৃতীয় রাউন্ডে খেলেছিলেন তিনি। ২০১০ ও ২০১৪ সালের সে দুটো ম্যাচে ইস্তোমিন হেরেছিলেন এই জোকোভিচের কাছেই। এবার তৃতীয় নয় দ্বিতীয় রাউন্ডেই দেখা হয়ে গেল দুজনের। এর আগে এই দুজন পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছিলেন। একটা সেটও জিততে পারেননি ইস্তোমিন। ২০১৪ সালে শেষ সেটে ৫টি গেম জেতাই ছিল তাঁর সেরা সাফল্য। আজ সেই গল্প যে বদলে যাচ্ছে সেটি জানিয়ে দিলেন প্রথম সেটেই।
২০০৮ সালের উইম্বলডনের পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড সø্যামের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেন। প্রিয় টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তো ২০০৬ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া পর চতুর্থ রাউন্ডের আগে কখনোই ফেরেননি ‘জোকার’। সাত বছরের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো র্যাঙ্কিংয়ে একশর বাইরে থাকা প্রতিপক্ষের কাছে হারের লজ্জায় ডুবলেন জোকোভিচ। ২৯ বছর বয়সী এই তারকা ২০১৬ সালের অলিম্পিকে হেরেছিলেন র্যাঙ্কিংয়ে ১৪৫তম স্থানে থাকা হুয়ান মার্তিন দেল পোত্রোর কাছে।
এবারের আসরে উজবেকিস্তানের স্তোমিন সরাসরি সুযোগ পাননি এই টুর্নামেন্টে। অংশগ্রহণের জন্য তাকে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে আসতে হয়েছে। আর তার কাছেই বাজেভাবে হেরে বসলেন ১২টি গ্র্যান্ড সø্যামের মালিক জোকোভিচ। স¤প্রতি বাজে পারফরম্যান্সে ভুগছেন সাবেক নম্বর ওয়ান তারকা। গত মৌসুমের শেষ দিকে এসে নিজের শীর্ষস্থানটিও হারিয়েছেন অ্যান্ডি মারের কাছে। জোকোভিচ ছিটকে পড়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে বিশ্বসেরা মারের পথটা আরও মসৃণ হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।