নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গে নদিয়া জেলা থেকে উঠে ভারতের ক্রিকেটের বড় নাম হয়ে উঠেছিলেন ঝুলন গোস্বামী। ২০০২ সালে অভিষেকের পর এই পেসার খেলেছেন টানা ২০ বছর। অবশেষে লর্ডসে গতপরশু বিদায়ী ম্যাচ খেলেছেন ভারতের এই ক্রিকেটার। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড নারী দলকে ১৬ রানে হারায় ভারতের নারী দল। আগে ব্যাট করে ১৬৯ রান করে ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৫৩ রানে। তাতে ১০ ওভার বল করে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট ঝুলনের। এই ম্যাচ দিয়েই আবেগঘন বিদায় নেন ঝুলন। সতীর্থদের ভালোবাসা, প্রতিপক্ষের শ্রদ্ধা অর্জন করে ক্রিকেট ক্যারিয়ার থামান ৩৯ পেরুনো এই বাঙালি ক্রিকেটার।
২০ বছর ধরে ভারতের নারী ক্রিকেটের পটপরিবর্তন হয়েছে অনেক। তবে ঝুলন গোস্বামী ছিলেন অনেকটা বটবৃক্ষের মতো। এ জন্যই হয়তো দলের অনেকেই ভালোবেসে ডাকেন ‘ঝুলনদি’ বলে। বিদায়বেলাতেও পরিবারের বড় বোনের মতো তিনি বলেছেন, ‘আমাকে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ, আবেগে ভেসে গিয়ে ক্রিকেট মাঠে নামতে পারি না আমি। আমি পুরোপুরি কঠিন চরিত্রের মানুষ।’
তিনি এভাবে বলতে পারলেও যাঁরা তাঁকে ‘ঝুলনদি’ বলে ডাকেন, তারা নিজেদের সামলাতে পারেননি। তাই তো মাঠে নামার আগে সতীর্থদের অনেকরই চোখ ভিজেছিল অশ্রুতে। অধিনায়ক হারমানপ্রিত কাউর দেন প্রতিক্রিয়া, ‘আমার অভিষেকের সময় ঝুলনকে পেয়েছি। এখন তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে আমি অধিনায়ক। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের।’ সহ-অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা ভারতে নারী ক্রিকেটের অগ্রদূত ছিলেন ঝুলন, ‘আর ঝুলনদিকে খেলতে দেখব না ভেবেই খারাপ লাগছে। নারী ক্রিকেটের উত্থানের তার নেপথ্যে অবদান অনস্বীকার্য। তার অভাব থাকবে।’
মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ঝুলন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ডানহাতি এই পেসার নিয়েছেন ৩৫৫ উইকেট। টেস্টে ৪৪ আর টি-টোয়েন্টিতে আছে তার ৫৬ উইকেট। তবে ওয়ানডেতেই উইকেট নেওয়ায় নিজেকে তুলেছেন শিখরে। ২০৪ ওয়ানডেতে ২৫৫ উইকেট তার। ২০০ উইকেটও নেই আর কারো। ১৯১ উইকেট নিয়ে তার পরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার শাবনিম ইসমাইল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।