Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের শান্তি প্রস্তাব : শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চান জেলেনস্কি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১১:২১ এএম

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে ১২ দফা শান্তি পরিকল্পনা শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এখন সে প্রস্তাব নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের প্রথম বার্ষিকীতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে কথা বলেন। জেলনস্কি বলেন, চীন শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে। তার মানে, দেশটি যুদ্ধ বন্ধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে চায়।
একই দিনে যুদ্ধের এক বছরপূর্তিতে চীন জানায়, ইউক্রেন সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই কার্যকর ভূমিকা রাখতে চায় বেইজিং। এমনকি, মিত্র দেশ রাশিয়াকে পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা না করার জন্যও আহ্বান জানায় চীন।
এমন প্রস্তাবে জেলেনস্কি বলেন, আমি চাই, চীন যেন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করবে না। গত কয়েক দিন ধরেই পশ্চিমা দেশগুলো দাবি করছে, রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে চীন। যদিও এর কোনো প্রমাণ সামনে আনতে পারেনি তারা। অন্যদিকে, চীনও বিষয়টি শক্তভাবে অস্বীকার করেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শান্তি পরিকল্পনার প্রথমেই আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অবসানের কথা বলা হয়। তাছাড়া পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে মানবিক করিডোর গঠনের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ওই প্রস্তাবে শস্য রপ্তানি স্বাভাবিক করা ও ‘স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা’ পরিহারেরও কথা তুলে ধরা হয়েছে। বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাব স্বাগত জানিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, আমরা চীনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত।
এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এ শান্তি প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন। তাহলে এটি ভালো হয় কীভাবে? ওই পরিকল্পনায় রাশিয়ার সুবিধাকেই বড় করে দেখা হয়েছে।
বিবিসির বিশ্ব বিষয়ক সম্পাদক জন সিম্পসন বলেছেন, চীন রাশিয়ার পাশে রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ওই শান্তি পরিকল্পনার মাধ্যমে বেইজিং পুতিনকে উদ্ধারের উপায় খুঁজতে চায়।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা সর্বশেষ প্রস্তাবগুলোকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়েছেন। তবে ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, বেইজিংয়ের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা নেই’, কারণ তারা ইউক্রেনে অবৈধ রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করতে পারেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেলেনস্কি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ