যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদ, জিল্লুর রহমান জিল্লু ও মিজানুর রহমান মিল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে যুক্ত হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির তিন নেতাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন ও আখতার হোসেন বাদল নেতৃত্বাধীন সংগঠনের নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন দেশের জনগণ জিয়া ও জিয়া পরিবারকে স্মরণ রাখবে। কেননা, জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা আর আধুনিক বাংলাদেশের সৎ রাষ্ট্রনায়কের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অপরদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক, আপোষহীন নেত্রী। আর জিয়া-খালেদার পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক। বক্তারা বলেন, জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে শেখ হাসিনা সরকার নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। দেশ ও প্রবাসের জিয়ার সৈনিকেরা যেকোন মূল্যে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
সিটির ব্রæকলীনস্থ মধুবন রেস্টুরেন্টে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও ব্যবসায়ী আখতার হোসেন বাদল ।
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি’র সভাপতি ছালেহ আহমদ মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শিপন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন মোহাম্মদ সোহেল। সভায় অতিথিদ্বয় ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র জাগপা সভাপতি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হোসেন কচি, মোহাম্মদ মহিন আহমেদ, আনসার আলী চেয়ারম্যান, নোমান সিদ্দিকী প্রমুখ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির প্রচার সম্পাদক মো. তাইবুর রহমান।
সভায় বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পতœী ডা. জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দেশব্যাপী দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়ন-নির্যাতন, গ্রেফতার ও হামলা-মামলা বন্ধসহ অবিলম্বে সকল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি এবং তত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন।
সভায় অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জিয়া ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক নেতা। তিনি জনগণের নেতা ছিলেন বলেই কোটি কোটি মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং আজীবন জিয়াকে স্মরণ রাখবে। জিয়ার তুলনা শুধু জিয়ার সাথেই চলে। তিনি বলেন, দেশ ও প্রবাসের বিএনপি নেতা-কর্মীসহ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে, ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কোনো ষড়যন্ত্র বা প্রলোভন এই আন্দোলন রুখতে পারবে না।
আখতার হোসেন বাদল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার মতো জনপ্রিয় নেতা দেশে দ্বিতীয়টি নেই। তিনি শুধু দেশের কোটি কোটি মানুষের নেতাই ছিলেন না, ছিলেন বিশ্বনেতাও। ছিলেন মুসলিম বিশ্বের প্রিয় নেতা। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের বড় ভুল ছিল শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়া। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ভোটবিহীন নির্বাচনে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে জিয়া ও জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার সৈনিক, আমাদের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর আগামী দিনের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা যেকোন পরিস্থিতিতেই জিয়া পরিবারকে রক্ষা করবো।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।