মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কর্পস কমান্ডার স্তরের ১৭তম রাউন্ডের আলোচনায় ভারত ও চীন পশ্চিম সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মাটিতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর চীনা পক্ষের চুশুল-মোল্ডো সীমান্ত মিটিং পয়েন্টে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৭ জুলাই শেষ বৈঠকের পরে গৃহীত অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে উভয় পক্ষ খোলা এবং গঠনমূলক পদ্ধতিতে পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর প্রাসঙ্গিক সমস্যাগুলোর সমাধানের বিষয়ে মতামত বিনিময় করেছে। ‘রাজ্য নেতাদের প্রদত্ত নির্দেশনার সাথে সঙ্গতি রেখে বাকি সমস্যাগুলো দ্রæত সমাধানের জন্য কাজ করার জন্য তাদের মধ্যে একটি খোলামেলা এবং গভীরভাবে আলোচনা হয়েছে যা পশ্চিম সেক্টরে এলএসি বরাবর শান্তি ও প্রশান্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে। এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি সক্ষম করে’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যোগ করেছে।
‘অন্তর্বর্তী সময়ে উভয় পক্ষ পশ্চিম সেক্টরে স্থলভাগে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে’ বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে।
উভয় পক্ষ ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকতে এবং সামরিক ও ক‚টনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংলাপ বজায় রাখতে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি সমস্যাগুলোর একটি পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান নিয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
লাদাখের প্রত্যন্ত গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চিনা সৈন্যদের সংঘর্ষের আড়াই বছর পর আজও দুটি দেশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিপুল সংখ্যক জওয়ান মোতায়েন রেখেছে। এরই মাঝে গত ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলের তাওয়াঙে দুই দেশের সেনা জওয়ানরা সংঘাতে জড়ান। এই পরিস্থিতিতে লাদাখ সীমান্তে যাতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হয়, এই কারণে চুশুলে ১৭ দফার বৈঠকে বসল ভারত এবং চীনা সেনার কমান্ডাররা।
প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভারত ও চীনের মধ্যে মোট ১৬টি বৈঠক হয়েছে। একটি বৈঠক হয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষের আগে। এসব বৈঠকের ফলে কোথাও কোথাও শান্তি ফিরেছে, তবে সার্বিকভাবে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও সামগ্রিক সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এরই মাঝে কয়েক মাস আগে জানা গিয়েছিল, প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটা দূরে একটি বড় সেতু বানাচ্ছে চীন। তবে এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক যাতে আরও তলানিতে গিয়ে না ঠেকে, তার জন্য দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র : আইএএনএস, হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।