মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাতের আকাশে ছড়িয়ে যাচ্ছে একঝাঁক আলোর কণা। আপাত ভাবে দেখলে মনে হতেই পারে উল্কাবৃষ্টি বুঝি। কিন্তু তা নয়। মহারাষ্ট্রের আকাশে যে আলোর ঝলকানি দেখা গিয়েছে শনিবার রাতে তা আসলে চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ।
গত ফেব্রুয়ারিতে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল চ্যাং ঝেং তথা লং মার্চ ৫বি নামের ওই চীনা রকেটটি। সেই রকেটটিই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ে শনিবার। আর তারপর জ্বলে যায় আকাশেই। তবে ভয়ের কিছুই নেই। কেননা পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে যাওয়া রকেটটির কোনও অংশ পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়ে কোনও বিপত্তি ঘটাবে, সেই সম্ভাবনা শূন্য।
মার্কিন মহাকাশচারী জোনাথন ম্যাকডাওয়েল জানিয়েছেন, আগে থেকে যা ভাবা গিয়েছিল একেবারে সেই শিডিউল মেনেই রকেটটি ফিরে এসেছিল পৃথিবীর চৌহদ্দিতে। পুরো বিষয়টিই নজরে রেখেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
আসলে মহাকাশে নিজেদের একটি মহাকাশ স্টেশন বানাতে চলেছে বেইজিং। ‘তিয়ানহে মহাকাশ স্টেশন’ নামের সেই স্টেশনটি উৎক্ষেপণ করার আগে এখন চলছে প্রস্তুতির কাজ। আর সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে এই ৫বি ধাঁচের রকেটগুলি একে একে মহাকাশে পাঠাচ্ছে তারা। উদ্দেশ্য, ওই স্টেশনের মডিউল ও অন্যান্য অংশকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা।
এর আগে গত বছরের মে মাসেও এমন একটি চীনা রকেট ভেঙে পড়া নিয়ে উত্তেজনা হয়েছিল। সেবারই একটি মডিউলকে মহাকাশে পাঠানোর ভার পড়েছিল লং মার্চ ৫বি রকেটের উপরে। নিজের কাজ সমাপ্ত করে তীব্রগতিতে সেটি ছুটে এসেছিল পৃথিবী অভিমুখে। নিউ ইয়র্ক কিংবা মাদ্রিদের মতো শহরে তা আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছিল। সব চিন্তার অবসান ঘটিয়ে ভারত মহাসাগরের বুকে আশ্রয় নিয়েছিল রকেটটির ধ্বংসাবশেষ। তারও আগে আইভরি কোস্টে এমনই এক রকেট আছড়ে পড়ে বহু ঘরবাড়ির ক্ষতি করেছিল। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।