মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত মহাসাগরের বাণিজ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে বৈঠক। আয়োজক চীন। আমন্ত্রিত ১৯ দেশ। তালিকায় নেই ভারত। চলতি সপ্তাহেই চীনের ইউনান প্রদেশের কানমিং প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈঠকটি। স্বাভাবিকভাবে ভারত মহাসাগর সংক্রান্ত বৈঠক অথচ আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই নয়াদিল্লি, যা নিয়ে ভারতের অসন্তোস বেড়েছে।
জানা গিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংগঠন চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন এজেন্সির তরফে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল, আফগানিস্তান, ইরান, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, মোজাম্বিক, তানজানিয়া, সিচেল, মাদাগাস্কার, মরিসাস, জিবুতি, অস্ট্রেলিয়া এবং তিনটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৈঠকের আয়োজন সংগঠনের প্রধান লুও জাউহুই দীর্ঘদিন ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। তবে এই প্রথমবার নয়. করোনাকালেও ভারতকে বাদ দিয়ে এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলিকে নিয়ে কোভিড টিকার বৈঠক সেরেছিল বেইজিং।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, চলতি বছরের শুরুতেই ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলির উন্নয়নের নামে একটি মঞ্চ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল বেইজিং। ২১ নভেম্বরের বৈঠকও কি সেই প্রস্তাবের অংশ, জানতে চায়া হয়েছিল চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, এই বৈঠকের সঙ্গে ওই প্রস্তাবের কোনও যোগাযোগ নেই। এই বৈঠকে চীনের তরফে ভারত মহাসাগরে চারপাশে অবস্থিত দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা সংগঠন গড়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। যেখানে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সাহায্য করবে বেইজিং। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ভারত মহাসাগরের দেশগুলিকে কাছে টানতে চাইছে জিনপিংয়ের দেশ। এভাবেই ভারতকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে প্রতিবেশী চীন।
প্রসঙ্গত, আগস্টের ১৬ তারিখ শ্রীলঙ্কার হামবানটোটা বন্দরে নোঙর ফেলেছে চীনা জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’। এটি গবেষণা ও সমীক্ষার কাজে ব্যবহার হয় বলে বেইজিং দাবি করলেও, এর মাধ্যমে মূলত নজরদারির কাজ চালানো হয় বলে মনে করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মহল। আশঙ্কা, এই জাহাজে মজুত অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী সেন্সর ও রাডারের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নজরদারি চালাবে লালফৌজ। ভারতীয় ফৌজের ইউনিট ফর্মেশন, মিসাইল সাইট, যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের সুলুক সন্ধান পেতেই এই জাহাজ পাঠিয়েছে চীন। তাই কোনওমতেই এই জাহাজটিকে শ্রীলঙ্কা জায়গা দিক তা চাইছিল না নয়াদিল্লি। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।