মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক কারও ঘরের পিছনের আঙিনা নয় এবং এটি বড় শক্তিগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র হওয়া উচিত নয়। তিনি বেইজিং এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে এ অঞ্চলে শীতল যুদ্ধের উত্তেজনার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন।
গতকাল এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন শি জিনপিং। তার বক্তব্যে আঞ্চলিক মিত্র এবং অংশীদারদের সাথে মার্কিন প্রচেষ্টার একটি স্পষ্ট রেফারেন্স ছিল যাকে তারা এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব হিসাবে দেখছে। ‘জনগণ বা আমাদের সময় দ্বারা একটি নতুন শীতল যুদ্ধ চালানোর কোন প্রচেষ্টা কখনই অনুমোদিত হবে না,’ শি শীর্ষ সম্মেলনের সাথে যুক্ত একটি ব্যবসায়িক ইভেন্টের জন্য প্রস্তুত করা লিখিত বক্তব্যে বলেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, চীন দৃঢ়ভাবে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের অভিন্ন ভাগ্যের কমিউনিটি গড়ে তুলবে, এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আরো বেশি অবদান রাখবে। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকতে হবে। স্নায়ুযুদ্ধ থেকে বের হওয়ায় এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চল আধুনিকায়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যেতে পেরেছে। নতুন স্নায়ুযুদ্ধ ঘটার কোনো অপপ্রচেষ্টা এই যুগ মেনে নেবে না।
‘সহনশীল পথে অবিচল থাকতে হবে। উন্মুক্ততার নীতিতে এপেক সহনশীল আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো স্থাপন করেছে। এর ফলে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল আঞ্চলিক অর্থনীতির একীকরণের যুগে প্রবেশ করতে পেরেছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে সমর্থন করার পথে এগিয়ে যেতে হবে। অঞ্চলের সব দেশের উচিত সহযোগিতা জোরদার করা, পরস্পরকে সমর্থন ও সাহায্য করা,’ তিনি যোগ করেছেন।
শি জিনপিং নতুন পরিস্থিতিতে উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কয়েক দফা প্রস্তাব পেশ করেন। তিনি বলেন, প্রথমত উন্নয়নের ভিত্তি সুসংবদ্ধ করতে হবে। যৌথভাবে স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তাধারার বিরোধিতা করতে হবে, এশিয়া ও প্যাসিফিকের নিরাপত্তা কাঠামো স্থাপন করতে হবে। দ্বিতীয়ত জনগণকেন্দ্রিক চিন্তাধারা মেনে চলতে হবে। অর্থনীতি উন্নয়নের সঙ্গে জনগণের জীবিকা নিশ্চিত করতে হবে। সহনশীল উন্নয়নের পরিবেশ লালন করতে হবে।
তৃতীয়ত, আরো উচ্চ মানের উন্মুক্তকরণের কাঠামো স্থাপন করতে হবে। উন্মুক্ত ধরনের এশিয়া ও প্যাসিফিক অর্থনীতি গঠন করতে হবে। চতুর্থত, উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। চীন সক্রিয়ভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগ বাস্তবায়ন এবং বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন-কৌশলের সঙ্গে এর সংযোগকে ত্বরান্বিত করবে। পাঁচ, স্থিতিশীল শিল্প চেইন ও সরবরাহ চেইন স্থাপন করতে হবে। যৌথভাবে একতরফাবাদ ও সংরক্ষণবাদের বিরোধিতা করতে হবে। এবং ছয়, অর্থনীতির রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে হবে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সবুজ সহযোগিতার কাঠামো গঠনকে দ্রুততর করতে হবে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।