প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
টালিউড-বলিউড মহানায়ক মিঠুন চক্রবর্তীকে গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। হতে হয়েছে বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার। এ নিয়ে রাতে বেশ কাঁদতেন তিনি। সম্প্রতি নিজের সেসব দুঃসহ স্মৃতি মনে করলেন প্রবীণ এই অভিনেতা। রিয়ালিটি শো ‘সা রে গা মা পা লিটল চ্যাম্পস’-এ তাঁর কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করলেন তিনি।
মিঠুন বলেন, ‘জীবনে আমি যা পার করেছি, তা বলার মতো নয়! আমি কখনোই চাই না আর কেউ এসব পার করুক। প্রত্যেকেই সংগ্রাম দেখেছে এবং কঠিন দিন পার করেছে। কিন্তু আমাকে সব সময় আমার গায়ের রঙের জন্য উপহাস করা হতো। আমার গায়ের রঙের কারণে আমাকে অনেক অসম্মানিত করা হয়েছে। এমনও দিন দেখেছি যখন আমাকে খালি পেটে ঘুমাতে হয়েছে এবং আমি ঘুমানোর সময় কাঁদতাম। আসলে, এমন কিছু দিন আমি পার করেছি যখন আমি পরের দিনের খাবার ও থাকার জায়গা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতাম। আমি জীবনে অনেক দিন ফুটপাতেই ঘুমিয়েছি।’
অভিনেতা দুঃখভরাক্রান্ত হৃদয়ে আরো জানান, তিনি কাউকে তাঁর বায়োপিক পর্যন্ত নির্মাণ করতে দিতে চান না। কারণ তিনি চান না যে সমস্ত মুহূর্ত তিনি পার করেছেন, সেটির মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে অন্য কেউ যাক।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই না যে আমার বায়োপিক কখনো তৈরি হোক! আমার গল্প কখনোই কাউকে অনুপ্রাণিত করবে না, বরং এটি মানুষকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলবে। মানুষকে তাদের স্বপ্ন অর্জনের পেছনে ছুটতে নিরুৎসাহিত করবে। আমি চাই না এমনটা হোক! এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেকে প্রমাণ করতে অনেক লড়াই করেছি আমি। হিট সিনেমা দিয়েছি বলে আমি নিজেকে কিংবদন্তি মানি না। আমি একজন কিংবদন্তি কারণ আমি আমার জীবনে ভয়াবহ যন্ত্রণা এবং সংগ্রাম অতিক্রম করেছি।’
১৯৭৬ সালে ‘মৃগায়া’ দিয়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন মিঠুন। প্রথম চলচ্চিত্রেই তিনি জাতীয় পুরস্কার পান। আশি ও নব্বইয়ের দশকে ডিস্কো ড্যান্সার, ওয়ারদাত, বক্সার এবং অগ্নিপথের মতো বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিঠুন। নিয়মিত পর্দায় দেখা যায় এই গুণী অভিনেতাকে। এ বছরের ব্লকবাস্টার হিট ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।