মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, করোনা-উত্তর আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বদলে, ইটালি-সহ বেশ কিছু দেশে অতি দক্ষিণপন্থীদের উত্থানের আবহেই গতকাল থেকে শুরু হয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র সম্মেলন। সিপিসির ঊনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তাতে কর্ম-প্রতিবেদন পেশ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এ সম্মেলনেই শি ছাপিয়ে যেতে চান সবাইকে, এমনকি মাও জে দংকেও। তারই প্রস্তুতি চলছে গত চার বছর ধরে, তিল তিল করে। প্রস্তুতি নিয়েছেন শি নিজেই। সিপিসি-র গত তিন দশকের সব নিয়ম হেলায় উড়িয়ে। মাওয়ের মৃত্যুর পর থেকে চলে আসা পরপর দু’বার পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার নিয়ম বদলাতে সংবিধানেও বদল আনা হয়েছে শি-র নির্দেশেই। দলের অন্দরে কোনও বিক্ষুব্ধ সুর যাতে মাথা চাড়া না দেয়, সে দিকে প্রথম থেকেই ছিল কড়া নজর। যার জেরে তৃতীয় বারের জন্য চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ আসনে শি-র ‘নির্বাচিত’ হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
প্রেসিডেন্ট এবং সিপিসি-র প্রধান হিসেবে শি-র দ্বিতীয় দফাতেই বোঝা গিয়েছিল, তিনি মাও-কে ছাপিয়ে যেতে চান। দেশের ‘মহানতম নেতা’ হয়ে উঠতে মরিয়া শি-র হাতে অস্ত্র ছিল শক্ত অর্থনৈতিক ভিত আর সেনা। তাতে ভর করেই এগিয়েছেন তিনি। তবে একটি জায়গায় শি-র সব সমালোচককেই মুখে কুলুপ আঁটতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদে বসা ইস্তক দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে কোনও আপস করেননি শি। একাধিক শীর্ষ কর্তার পাশাপাশি প্রাক্তন বিচারপতিকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে চীন। দুর্নীতি দমনের এই চেষ্টার জন্যই আম চীনা নাগরিকের মনে অন্য রকম ভাবমূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলা সপ্তাহব্যাপী এই সম্মেলনের বেশির ভাগটাই হবে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সেখানেই শি-র অঙ্গুলিহেলনে বাদ যেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী লি খ্যচিয়াং-সহ সকলেই। এমনকি যাকে শি-র প্রশাসনে অন্যতম সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলা হয়, সে ই ওয়াং ই-কেও সরতে হবে বলে জানা গিয়েছে। বেছে নেয়া হবে শি অনুগামী একঝাঁক নতুন নেতাকে। সম্মেলনের শেষ দিনে দেশ-বিদেশের সাংবাদিকদের বাছাই করা প্রশ্নের উত্তর দেবেন শীর্ষ নেতৃত্ব।
‘বেড়াল সাদা না কালো দেখার দরকার নেই, ইঁদুর ধরতে পারলেই হল’, মাওয়ের মৃত্যুর দু’বছরের মধ্যে মাওবাদী অর্থনীতিকে সরিয়ে বাজারভিত্তিক অর্থনীতির হাত ধরতে গিয়ে বলেছিলেন তৎকালীন চীনা প্রেসিডেন্ট দেং শিয়াওপিং। সেই শুরু চীনা অর্থনীতির অগ্রগতির। সেই ধারাকেই বজায় রেখে চীনা সমাজতন্ত্রের ধারণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বারবার বুঝিয়েছেন শি। আসন্ন সম্মেলনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে নিজের সেই তত্ত্বকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তার। সূত্র : সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।