Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি সংকটে প্রথমবার জার্মানিতে গ্যাস পাঠাল ফ্রান্স

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৪৮ এএম

রাশিয়ার পাইপলাইন বন্ধ হয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানির যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার মধ্যে ‘ইউরোপীয় সংহতির’ প্রকাশ ঘটিয়ে ফ্রান্স এই প্রথম জার্মানিতে সরাসরি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) এ সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের গ্যাস সরবরাহ কোম্পানি ‘জিআরটিগ্যাজ’। ভিন্ন পথে গ্যাস সরবরাহের জন্য কোম্পানিটি কয়েকমাস আগে থেকেই কাজ শুরু করেছিল।

তাছাড়া, ইউরোপে জ্বালানি স্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে গত সেপ্টেম্বর মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস একটি জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তিও করেছিলেন।

ফ্রান্স সেই চুক্তির আওতায়ই জার্মানিতে গ্যাস পাঠাল বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। নতুন এই গ্যাস প্রবাহ জার্মানির দৈনিক চাহিদার ২ শতাংশের কম হলেও এ পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

ফরাসি গ্রিড অপারেটর জিআরটিগ্যাজ বলেছে, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৩১ গিগাওয়াট ঘণ্টা পাঠাবে। ফ্রান্সের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে পাইপলাইনে তা পাঠানো হবে।

জ্বালানি সংহতি চুক্তির আওতায় জার্মানি অঙ্গীকার করেছে প্রয়োজনের সময় ফ্রান্সকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বিপরীতে গ্যাস দিয়ে জার্মানিকে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স।

বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা যদি এখন ঐক্যবদ্ধ না হই, আমাদের যদি ইউরোপীয় সংহতি না থাকে, তাহলে আমাদের গুরুতর সমস্যায় পড়তে হবে।

রাশিয়া গ্যাসের প্রবাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণে খুব একটা প্রভাবিত হয়নি ফ্রান্স। কারণ দেশটির জ্বালানির বেশিরভাগ আসে নরওয়ে থেকে।
ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বেড়েছে গ্যাসের দাম। যুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত জার্মানির প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদার ৫৫ শতাংশ রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তা কমে ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। জার্মানি রুশ তেলের ওপর নির্ভরশীলতা শূন্যে নামিয়ে আনতে চায়।
গ্যাসের ব্যবহার কমাতে জার্মানি নিজেদের কয়লার ব্যবহার বাড়াচ্ছে। একই সঙ্গে পরিবেশগত কারণে বন্ধের মুখে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রাখা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফ্রান্স


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ