প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০১৭ সালে ‘রইস’ সিনেমার প্রচারে গুজরাট গিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান। সেখানে লোকাল ট্রেনে চেপে প্রচার চালাচ্ছিলেন কিং খান। এসময় তাকে এক ঝলক দেখতে বরোদা স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার ভক্ত অনুরাগী। সেখানেই ভিড়ের মাঝে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটে এক ব্যক্তির। সেই ঘটনায় কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় শাহরুখ খানকে। প্রায় ৫ বছর পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই মামলা থেকে রেহাই পেলেন এই সুপারস্টার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সেই মামলা ফের বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আপাতত এই ঘটনায় স্বস্তি পেয়েছেন শাহরুখ। জাস্টিস অজয় রাস্তোগি ও জাস্টিস সিটি রবিকুমার শাহরুখের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কার্যত বাতিল করে দেন। এরআগে গত ২২ এপ্রিল গুজরাট হাইকোর্ট এই ক্রিমিনাল মামলা থেকে শাহরুখকে মুক্তি দিয়েছিল।
শাহরুখের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী জিতেন্দ্র মধুভাই সোলাঙ্কি বরোদার ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি ব্যক্তিগত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন যে, বরোদা স্টেশনে টিশার্ট ও স্মাইলি বল ছুড়েছিলেন শাহরুখ। সেগুলি সংগ্রহ করতেই স্টেশন চত্বরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেখান থেকে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। গুজরাট হাইকোর্টে এই মামলা বাতিলের আর্জি জানিয়েছিলেন শাহরুখ খান। তদন্তের পরে এই মামলা বাতিল করে দেয় গুজরাট হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী। সোমবার সেই মামলাকেই বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, ‘রইস’ সিনেমা নিয়ে একাধিক মামলায় জড়িয়েছেন শাহরুখ খান। আব্দুল লতিফের জীবন নিয়ে তৈরি এই সিনেমাতে আব্দুল লতিফকে ঠিকভাবে চিত্রায়ন করা হয়নি, এই অভিযোগ এনে শাহরুখ খান সহ সিনেমার প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি টাকা দাবি করে মানহানির মামলা করে লতিফের পরিবার। শাহরুখ খান ও সিনেমার প্রযোজকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০১ কোটির মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে গুজরাট হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।