Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাইয়ের রক্তের বদলা নিতে জামিনে এসে খুন!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভাইয়ের খুনের প্রতিশোধ নিতে খুন করেন মামুন। সাথে ছিলেন আরেক ভাই ইকবাল। কারাগার থেকে জামিন নিয়ে এসে খুন করে পালিয়ে যান তিনি। অবশেষে ধরা পড়েন র‌্যাবের হাতে। চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে যুবলীগ কর্মী শহীদুল ইসলাম আকাশকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামুনসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।
গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার পাহাড়তলী ও চাঁদপুর জেলা শহরের পুরান বাজার এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. মামুন (২৫), মুকেশ চন্দ্র দাস (২৫), মো. ইকবাল (২২)। এর মধ্যে মামুন ও ইকবাল আপন ভাই। ইকবালের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে।
দুপুরে চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জোরারগঞ্জ থানার চিনকিরহাট বাজারে নিজ ফার্নিচার দোকানের সামনে যুবলীগ কর্মী মো. শহিদুল ইসলাম আকাশকে মো. মামুন ও তার সহযোগীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার বাবা ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আসামি মামুন তাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শহিদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত শহিদুলের বোন বাদী হয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর জোরারগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, ২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মো. মামুনের ছোট ভাই আফজাল হোসেনকে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। খুনের ঘটনার সময় মামুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলায় জেলহাজতে ছিলেন। আফজাল হোসেনকে শহিদুল ইসলাম আকাশের নির্দেশে খুন করা হয় বলে ধারণা ছিল মামুনের। এ ঘটনায় যে হত্যা মামলা দায়ের করা হয় সেটিতেও শহিদুল ইসলাম আকাশকে আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, ১৩ সেপ্টেম্বর মামুন জামিনে মুক্তি পান। মুক্তি পেয়ে ভাই হত্যার প্রতিশোধ নিতে সহযোগী মোতালেব, রাজু, নেজাম, হামিদ, মুকেশসহ পরিকল্পনা করতে থাকেন। তারা ফেনীতে বসে শহিদুল ইসলাম আকাশকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক গত ১৯ সেপ্টেম্বর শহীদুলকে কুপিয়ে হত্যা করেন তারা। শহিদুল হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ