Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শূন্য কোভিড নীতি নিয়ে চীনের স্যোশাল মিডিয়ায় ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১:১১ পিএম

চীনের মিং ও কিং রাজবংশের ‘বদ্ধ-দরজা’ নীতি এবং পশ্চিমা উপনিবেশকারীদের দূরে রাখার ক্ষেত্রে এই নীতির ভূমিকা সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ দেশটির ইন্টারনেট জগতে ঝড় তুলেছে। চীনের শূন্য-কোভিড নীতি নিয়ে যে আলোচনা চলছে তাতে অতিরিক্ত দ্যোতনা সৃষ্টি করেছে বিষয়টি।

বহু আগের দুটি সাম্রাজ্যবাদী রাজবংশের বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতিগুলোকে কখনও কখনও প্রায় পাঁচ শতাব্দী ধরে চীনকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আলাদা রাখার জন্য দায়ী করা হয়। ১৯৪৯ সালে নতুন গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে এর পতন ঘটে।
নিবন্ধটির যুক্তি অনুযায়ী, ওই নীতি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতার নীতি ছিল না, তবে তা জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং বিদেশি আগ্রাসন প্রতিরোধ করার জন্য তা ছিল ‘আত্ম-সীমাবদ্ধতার’ নীতি ছিল।
যদিও এই নীতি ‘পশ্চিমা উপনিবেশবাদীদের রক্তাক্ত পূর্বমুখী সম্প্রসারণ’ খানিকটা বিলম্বিত করেছিল, তবে তা ছিল ‘অত্যন্ত রক্ষণশীল’ এবং এই নীতির সীমাবদ্ধতা ছিল বলে নিবন্ধে বলা হয়েছে।
একটি চীনা একাডেমি অব হিস্ট্রি জার্নালে গত জুন মাসে প্রকাশিত হয়েছে নিবন্ধটি। সম্প্রতি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই নিবন্ধটি একটি গবেষণা গোষ্ঠীর বলে জানানো হয়েছে, তবে তাতে কোনো লেখকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এতে বলা হয়েছে, “দেশের নির্জনতা এবং বিচ্ছিন্নতার ধারণাটি প্রাচীন চীনে বিদ্যমান ছিল না, বা এটি পশ্চিমের কাছে চীনের অন্তর্নিহিত চিত্রও ছিল না…এটি মিং এবং কিং রাজবংশের বৈদেশিক নীতির একটি বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনাও নয়।”
নিবন্ধে আরও বলা হয়, “তথাকথিত বদ্ধ-দরজা নীতি মিং এবং কিং রাজবংশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বিকাশ এবং চীনা ও পশ্চিমা সংস্কৃতির পারস্পরিক শিক্ষাকে বাধা দেয়নি। তবে এটি পরোক্ষ প্রতিরক্ষার নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছে এবং উন্নত পশ্চিমা প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করেছে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ