Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দীর্ঘ আন্দোলনের পর চা উত্তোলনে নতুন রেকর্ড গড়ছে চা শ্রমিকরা !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২২, ১:৫২ পিএম

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের সফল সমাপ্তি ঘটেছে। তবে টানা আন্দোলনে বাগানগুলো থেকে উত্তোলন করা হয়নি কোনোও চা পাতা। ফলে এখন চা পাতার অতিরিক্ত ঝলকানিতে চিন্তিত ছিলেন বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন পাতা চয়ন হচ্ছে লাখ লাখ কেজি চা। রেকর্ড পরিমাণ এ পাতা রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ। বিরতিহীনভাবে ফ্যাক্টরি চললেও চা পাতা উৎপাদনে স্মরণকালের প্রচুর কাঁচামাল কাঁচাপাতা সংগ্রহে হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন বাগানে দেখা যায় এমন চিত্র। কাঁচাপাতা রাখার ট্রাপ হাউজ ভরপুর হয়ে আছে। তাই কোনো কোনো বাগান কর্তৃপক্ষ ভিন্ন স্থানে নিয়ে রাখছে চা পাতা।


চা-শ্রমিকরা বলছেন, জীবনে এত পাতা উত্তোলন করিনি। সর্বোচ্চ ৫০ কেজি উত্তোলন ছিল রেকর্ড। কিন্তু গত ২ দিনে প্রতিজনে আমরা ১০৬-১১০ কেজি পর্যন্ত পাতা উত্তোলন করে সৃষ্টি করেছি নতুন রেকর্ড। নারী ও পুরুষ শ্রমিক পাতা তোলার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। পাতা নষ্ট হওয়ার আশংকায় সকাল বিকেল চলছে বাগানে বাগানে পাতা চয়ন। এতদিনের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের লোকসান পোশাতে এখন তৎপর শ্রমিকরা। বাগান ব্যবস্থাপকরা বলছেন, তারা এত বেশি চা পাতা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। ২৪ ঘণ্টা ফ্যাক্টরি চলছে। পাতা রাখার স্থান সংকুলান হচ্ছে না। চা পাতা উৎপাদনের গুণগতমান রক্ষা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চা শ্রমিক নেতা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ বলেন, ১৯ দিন বাগান বন্ধ থাকায় চা গাছের পাতার কুঁড়ি অনেক লম্বা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা বেশি বেশি করে পাতা তুলছে। বাগানে পাতা রাখার মতো স্থান দেওয়া যাচ্ছে না। পাতা প্রক্রিয়াজাত ও লোডশেডিংয়ের কারণে আশংকা রয়েছে নষ্ট হওয়ার।

রাজনগর চা বাগানের সিনিয়র সহকারী ম্যানেজার আনিসুর রহমান বলেন, সাধারণত ২ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা পাতা তোলা হয়। ১৯ দিন বন্ধ থাকার কারণে চা গাছের পাতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত তোলা হচ্ছে পাতা। যে কারণে অনেক বেশি পাতা উঠছে। এত পাতা একসঙ্গে সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। আবার চা গাছ ক্লোনিং (ছাঁটাই) করতে হবে। না হলে গাছ থেকে পাতা বের হবে না। তবে মৌসুম রক্ষার জন্য পাতা তোলা বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমার বাগানে ২ দিনে ২ লাখ কেজি পাতা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা নিয়ে আমরা রাত দিন পরিশ্রম করছি। পাতা রাখার স্থান দিতে পারছি না। বাগানের যেখানে খালি জায়গা পাচ্ছি সেখানে পাতা রাখছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চা শ্রমিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ