পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চা শ্রমিকদের মজুরি দৈনিক কমপক্ষে ৫০০ টাকা করতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমানের পক্ষে অ্যাডভোকেট চঞ্চল কুমার বিশ্বাস এ নোটিশ পাঠান। চা বাগানের সকল মালিক, চা বোর্ড ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে আশু ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে Ñমর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
নোটিশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, স¤প্রতি মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা-শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করলে চা বাগান মালিক বা সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। একটি অংশ তা মানলেও শ্রমিকদের আরেকটি অংশ ক্ষোভে আর অভিমানে তা মানতে রাজি হননি। তারা বলেছেন, ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে বরং পুরোনো মজুরিতেই কাজ করবেন। কিন্তু আমাদের দেশ এখন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়েছে। তাই একটি উন্নত ও আধুনিক সমাজে মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য দিনে কমপক্ষে ৫০০ টাকা না হলেই নয়। তাই আমরা চা-শ্রমিকদের জীবনযাত্রার জন্য একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি কমপক্ষে ৫০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছি। দেশের প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার চা-শ্রমিক প্রতিদিন মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে ১৬৭টি নিবন্ধিত বাগানে কাজ করছেন বা করতে বাধ্য হচ্ছেন। দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চারদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। পরে তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন।এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয় নি। পরে গত ২০ আগস্ট বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে শ্রমিকদের একটি অংশ আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।