পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার ঘোষিত ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দৈনিক ৩০০ টাকার দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন হবিগঞ্জের ২৪ চা বাগানের শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে চা শ্রমিকরা মহাসড়কের জগদীশপুর পয়েন্টের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল জানান, গত শনিবার শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়। সেখানে শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির চা শ্রমিকরা এর প্রতিবাদ জানায়। এটা তারা মানছে না তাদের দাবি, মজুরি তিনশ টাকা করতে হবে। সেই দাবি আদায়ের জন্য হবিগঞ্জের ২৪ চা বাগানের শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন।
লস্করপুর ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক অনিরুদ্ধ বাড়াইক জানান, আমাদের লস্করপুর ভ্যালির ২৩টি চা-বাগানের বাগান পঞ্চায়েত নিয়ে আমরা বসেছিলাম। তারা সবাই ১৪৫ টাকা মজুরিতে ধর্মঘট প্রত্যাহারে অস্বীকৃতি জানান।
মনু ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরি জানান, শ্রমিকরা ১৪৫ টাকা মজুরি মানছেন না। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলে দিতে চাই, যদি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে থাকে তাহলে আমরাও স্বাধীন হয়ে বাঁচতে চাই। আমাদের কেন মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন? তিনি বলেন, করোনাকালে যখন সবকিছু বন্ধ ছিল, তখনো আমাদের শ্রমিকরা করোনার ভয় কাটিয়ে কাজ করে গেছেন। আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের ২৩টি চা বাগানে কাজ বন্ধ থাকবে। দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা আমরা প্রত্যাহার করলাম। এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা জানান, সারাদেশে ধর্মঘট চলবে।
এদিকে, গতকাল সকালে সিলেটর মালনীছড়া চা বাগানে শ্রমিকরা সমবেত হয়ে মিছিল বের করেন। মিছিলটি সিলেট এয়ারপোর্ট সড়ক প্রদক্ষিণ করে লাক্কাতুড়া চা বাগানের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানেই চা শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যায়। ধর্মঘটের অষ্টম দিনে গত শনিবার ২৫ টাকা বাড়িয়ে চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এতে ধর্মঘট থেকে সরে দাঁড়ান অনেকে। কিন্তু, আগের দাবিতে গতকাল নবম দিনেও ধর্মঘট, সমাবেশ ও ‘ভুখা মিছিল’ করেছেন সাধারণ চা শ্রমিকরা। এদেরই একজনের পিঠে দেখা যায় লেখা ‘৩০০ টাকা মজুরি দে, নইলে বুকে গুলি দে’।
চা শ্রমিকরা বলছেন, ২৫ টাকা বাড়িয়ে সরকারের এই মজুরি বৃদ্ধি তাদের সঙ্গে প্রহসনের সামিল। তারা প্রশাসনকে একদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চারদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত গত শনিবারের বৈঠকে তাদের মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে তা প্রত্যাখান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।