বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শ্রম অধিপ্তর ও সরকারের সাথে বৈঠকের পর ১৪৫ টাকা মজুরির আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চা শ্রমিক নেতারা। এরপর বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা। বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কালকে থেকে তারা কাজে যোগ দেবেন।
আজ (শনিবার) বিকেলে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে বৈঠকের পর চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে আমর্ াধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। আমাদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে আমাদের সাথে বসবেন বলে জানিয়েছেন। সেখানে আমাদের দাবি দাওয়া জানানো হবে তাকে। তাই তার আশ্বাসে আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি আমরা। কাল রোববার থেকে সব শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে।
এদিকে, নেতাদের এই সিদ্ধান্তের পর শ্রম দপ্তরের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শ্রমিকরা। তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে শ্লোাগান দিতে থাকেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানান তারা। এসময় সমিতির নেতাদের প্রতিও ক্ষোভ জানান সাধারণ শ্রমিকরা।
অঞ্জন গোয়ালা নামের এক শ্রমিক বলেন, আমরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবি জানিয়েছি। এখন মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করলে কিভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো। এই বাজারে ১৪৫ টাকায় কিভাবে চলবো।
তিনি বলেন, নেতারা আপোষ করতে পারেন। কিন্তুআপোস করবো না আমরা। ধর্মঘট চালিয়ে যাবো।
চা শ্রমিকদের সাথে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের প্রতি খুবই আন্তরিক। তারই নির্দেশে আজকে এখানে এসেছি আমি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা মজুরি বাড়াতে চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে আরও ৫টাকা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে চা শ্রমিকদের সাথে দাবি দাওয়া নিয়ে বসবেন তিনি। এদিকে, আজ বিকেলে সিলেট ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বসবেন স্ব স্ব জেলা প্রশাসক।
প্রসঙ্গত, দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে গত শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন দেশের সব চা বাগানের শ্রমিকরা। এরমধ্যে দিয়ে প্রতিদিন বাগানগুলো ২০ কোটি টাকা মূল্যমানের লোকসানের মুখে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।