মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান গতকাল বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করলে চীনা কর্তৃপক্ষ কার্যকর ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। ‘পেলোসি যদি তাইওয়ান সফর করেন, এটি হবে চীনের অভ্যন্তরীণ নীতিতে একটি চরম হস্তক্ষেপ এবং এটি অত্যন্ত গুরুতর পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে,’ তিনি একটি ব্রিফিংয়ে জোর দিয়ে বলেন, ‘চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকবে না।’
কূটনীতিকের মতে, পেলোসির তাইওয়ান সফর তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের ওপর আঘাত হানবে। ‘চীন অবশ্যই দৃঢ় এবং কার্যকর পাল্টা ব্যবস্থা নেবে,’ তিনি উল্লেখ করেছেন। রোববার, পেলোসির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান সফরের জন্য এশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। রাজনীতিবিদ তার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সফরের সময় তাইপেই যাবেন কিনা তা নিশ্চিত করতে অস্বীকার করেন।
এদিকে, তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে ক্রেমলিন শুক্রবার চীনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে। তারা পরিস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন যেকোনো ‘উস্কানিমূলক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনালাপের সময় তাইওয়ানের সাথে চীনের লেনদেনে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। এর পরে শুক্রবার সাংবাদিকদের সাথে একটি কলে কথা বলার সময়, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন যে, রাশিয়া দৃঢ়ভাবে চীনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সমর্থন করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি যে, অন্য কোনো দেশের (এ বিষয়ে) সন্দেহ করার বা কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার নেই।’ তিনি ‘ধ্বংসাত্মক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছেন, যোগ করেছেন যে, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ ধরনের আচরণ শুধুমাত্র উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে কারণ বিশ্ব ইতিমধ্যে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সমস্যায় জর্জরিত।’
কঠোর বিবৃতিটি মস্কো এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে, যা গত ২৪ ফেব্রুয়ারী রাশিয়া ইউক্রেনে তার সৈন্য পাঠানোর পর থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। চীন রাশিয়ার পদক্ষেপের সমালোচনা করতে অস্বীকার করেছে, মস্কোকে উসকানি দেয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে দোষারোপ করেছে এবং মস্কোর উপরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছে। সূত্র : তাস, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।