শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
জলজীবন
মুহাম্মদ শামীম রেজা
নদীও বাড়ি ফেরে, নোনাজলে হারায়
জীবনের বারোমাস।
থমে গেলে জলের কোলাহল স্বপ্নেরা হয়
বকার ফানুস,
থাকেনা জাতপাত বিবেধের গাঢ় মানচিত্র
যন দিকভ্রান্ত পথিক এক পথের দিশায়
ছুটে চলা, জীবনের আশ্রয়ণ বিস্মৃত
হলে প্রভূ হয় বিশ্বাস ঘাতক।
জলের তলায় স্বপ্ন ভেসে যায়
অমাবস্যা হয় ঘোর।
লোকটা
হোসেইন আহমদ চৌধুরী
ছাব্বিশ মার্চ উনিশশো...
লাকটা! আমাদের পরান মাঝি
ঘরে এসে বললো বউ, দেশে যুদ্ধ লাগছে,
কাইল রাইতে ঢাকা শহরের বেবাক লোক
পাইক্কারা মাইরা ফেলছে।
রহিম বালা ভয়ে বিহ্বল,
স্বামীরে জিগায় --
অহন কী অইবো!
দাঁড়াও, আইতাছি
কইয়া গেল
লাকটা! হেই যে গেল।
ওদের ঈদ
রেশম লতা
তামরা যেটাকে ঈদ বলে মেতে আছ
গরুর হাটের বিশাল পসরা বিছিয়ে
অলি-গলি ঘুরে মহরত দিচ্ছো দিনরাত
সটাকে ওরা ঈদ বলে স্বীকৃতি দেয়না
ভাবে কোন এক সুসংগঠিত ইজারাদারের মাতলামু!
ইস্ যদি খুশীর শব্দটা ওরা পেত
তবে খুব করে হয়ত চিবিয়ে খেত
ওরা কখনো গামলা ভর্তি কোরবানির গোশত দেখেনি
দখেনি পায়েসের সাদা রং
শখেনি সেমাই খাওয়ার কারুকাজ।
জানো! ওদের ঘরে কোনো চাল নেই,
চালাটাও ভাঙ্গা, আর মাংস?
সে তো কেবল পাশের বাড়ির ঘ্রাণ!
আর ঈদ? তা যেনো বাৎসরিক ভিক্ষার ফরিয়াদ!
ঈদ এসেছে বৃষ্টিস্নান্ত ভোরে
শাহীন খান
ঈদ এসেছে শহর নগর গ্রামে জোছনা মাখা প্রীতির বাঁধন
খামে বাড়ি বাড়ি তোমার আমার নামে।
ঈদ এসেছে বললো বাতাস কানে, খুশির ধারা বয় যে ঈদের গানে সাম্যপ্রীতির
ঢেউ জেগেছে প্রাণে! ঈদ এসেছে খোকা খুকুর জামায়
দেয় সেলামি নানা নানি মামায়।
বড্ড মজা কেউ নাহি তা থামায়!
ঈদ এসেছে আলতা রাঙ্গা পায়ে চৌদিকেতে
ডানে বায়ে পত্রিকাতে, হিজলতলির ছায়ে।
ঈদ এসেছে বৃষ্টিস্নাত ভোরে, নানান পাখি সুর
দিয়ে যায় জোরে মিষ্টি মধুর আওয়াজ হৃদয় মোড়ে।
সুবাসিনী
রেদওয়ান খান
এইখানে কিছু জল বেঁচে আছে,সুবাসিনী!
আমার এ বুকে উথাল-পাথাল ডাকাতিয়া
পরিযায়ী পাখি পথ ভুলে নেমে কাটছে সাঁতার!
মাঘের সন্ধ্যায় তবু সাজে কেউ জোছনার সাজ ?
রসুই ঘরে কেউ কি রেঁধেছে ক্ষীর,দুধের পায়েস?
তুমি নাই,তাই কোথাও বর্ষণ নাই,সুবাসিনী,
দারুণ খরায় চৌচির বাসনার বিস্তীর্ণ জমিন।
সবুজ পাতায় কতো না লিখেছি ‘ভালোবাসি’,‘ভালোবাসি’
সুবাসিনী,শোনো,করতলে বাজে শুকনো মেঘের গান ।
ঈদানন্দ
এম এ বাশার
আনন্দের মাঝে আরেক আনন্দ ঈদানন্দ
পৃথিবী জুড়ে মুসলিম জাহানে,
ঈদের আনন্দ সবার মনে।
এই জ্বিলহজ্জ মাসে আল্লাহর
কাছে করি ফরিয়াদ
সবে মোরা সমান,
ঈদ উল্লাসে সবার যেন হয়
তওফীক বহমান।
শহর জীবন বন্দি জীবন সদা
কর্মে থাকি ব্যস্ত
ঈদানন্দ সবার সাথে ভাগাভাগি করি সমস্ত,
শিকড়ের টানে তাই আপন বাড়ি যাই ।
কর্মে সবাই ভেদাভেদ গায়ের রং তাই
শরীরে বইছে একই রক্ত ভাই,
হিংসা-বিদ্বেষ দূূূর করে সবে সবার সাথে
ঈদ আয়োজনে মেতে উঠি আনন্দের মোলাকাতে।
ঈদানন্দ তরে সবে সমান
এসো ভুলে যাই মান-অভিমান,
আত্নীয়তার বন্ধনে মিলিত সর্বক্ষণে
ঈদানন্দে সবাই মেতে উঠি উদার মনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।