Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্ব শান্তির জন্য ন্যাটো হচ্ছে এক নম্বর হুমকি

মাদ্রিদে ফরাসি রাজনীতিবিদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য হারভে জুভিন ন্যাটোকে বিশ্ব শান্তির জন্য এক নম্বর হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়া এবং চীনের বিপক্ষে সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলোকে এই সংঘর্ষে পক্ষ নিতে বাধ্য করে ‘বাফার জোন’ ধ্বংস করছে। গতকাল থেকে মাদ্রিদে শুরু ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সম্মেলন আগামীকাল শেষ হচ্ছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট্স সাব কমিটি অন সিকিউরিটি এন্ড ডিফেন্স (এসইডিই) বিষয়ক উপকমিটির সদস্য জুভিন গত সোমবার বলেন, ‘এটি একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ কারণ এটি সম্পূর্ণ নিরাপত্তার অঞ্চল তথা বাফার জোনকে বাদ দিচ্ছে, যা পরাশক্তিগুলো তাদের নিরাপত্তার মূল্য হিসেবে পরস্পরকে দিয়েছে। ন্যাটো সমগ্র বিশ্বের শান্তির জন্য এক নম্বর হুমকি, কারণ এটি রাশিয়াকে ঘেরাও করে রেখেছে এবং চীনকে ঘেরাওয়ে প্রস্তুত হচ্ছে।’

জুভিন বলেন, ‘এবং ন্যাটোর প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আনুগত্য, প্রকৃতপক্ষে, অ্যাঙলো-আমেরিকান স্বার্থকে পরিবেশন করছে, যা ইউরোপের জন্য সম্পূর্ণ অসঙ্গত। এটি ইউরোপীয় সরকার এবং সেসব ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর চরম অজ্ঞতার ফলাফল, যাদের নেতৃত্বে তাদের সেখানে স্থাপন করা হয়েছিল।’

তার মতে, ন্যাটো ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তার সদস্যদের জন্য একটি নিবন্ধন কার্যালয় হিসাবে বিবেচনা করে এবং এ যুক্তিতে পরিচালিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি জর্জিয়া, আর্মেনিয়া এবং ইউক্রেনের মতো দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে, যেগুলো ভৌগলিকভাবে, অথবা রাজনৈতিক বা মানবিক দিক থেকে কখনো ইউরোপের অংশ ছিল না। সেইসাথে এটি বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া এবং কসোভোকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যও চাপ তৈরি করছে।

জুভিন বিশে^র বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের সাথে তুলনা করেছেন, যখন তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যবর্তী-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন কিউবায় তার সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছিল। ফরাসি আইন প্রণেতা জুভিন উল্লেখ করেছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের উচিত মস্কোর উদ্বেগগুলো বিবেচনা করা এবং পোল্যান্ড ও রোমানিয়া থেকে মধ্যবর্তী-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রত্যাহার করা। এবং রাশিয়ার সীমান্তে এর বায়োল্যাব এবং রাসায়নিক অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া।

জুভিন বলেন, ‘কিন্তু মার্কিন কূটনীতি, যা অন্যান্য শক্তিকে সম্মান করত, তা নব্য রক্ষণশীলদের একটি উপজাতির হাতে পড়েছে, যারা বাইবেলের মাধ্যমে যে কোনো শত্রুকে ধ্বংস করার স্বপ্ন দেখে। মূল বিপদটি হ’ল বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা, যা আমেরিকানদের বৈশিষ্ট্য এবং তা বর্তমানে ইউরোপীয় রাজনীতিরও। পরাষ্ট্রনীতিতে মানুষকে মন্দ এবং ভাল লোকে বিভক্ত করার চেয়ে বিপজ্জনক আর কিছু নেই।’ সূত্র : তাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ন্যাটো


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ