মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো তাদের যুদ্ধ করতে প্রস্তুত এমন সেনা সংখ্যা বিপুল সংখ্যায় বাড়ানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে একে সবচেয়ে বড় পুনর্গঠন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। ন্যাটো জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, এ জোটের দ্রæত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত সৈন্যের সংখ্যা ৪০ হাজার থেকে প্রায় দশগুণ বাড়িয়ে তিন লক্ষাধিকে উন্নীত করছে। এটি একটি নতুন কৌশলগত পরিকল্পনা- এবং এ সপ্তাহেই মাদ্রিদে একটি শীর্ষ সম্মেলন হবে যেখানে এটা অনুমোদিত হতে পারে। স্টোলটেনবার্গ বলছেন, ইউরোপের নিরাপত্তার প্রতি রাশিয়ার প্রত্যক্ষ হুমকির পরই এই সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তার কথায়, নতুন এই সামরিক বøুপ্রিন্ট পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে উন্নত করা হবে। ন্যাটোর এই র্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স হচ্ছে স্থল, নৌ ও বিমান সেনা ও সরঞ্জামের সমন্বয়ে তৈরি করা একটি বাহিনী- কোনো আক্রমণ হলে যাদেরকে দ্রæতগতিতে মোতায়েন করা যাবে। ২০১৪ সালের আগে এ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার- আর এখন তা বেড়ে ৪০ হাজার হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর এই সৈন্যদের ইতোমধ্যেই লাৎভিয়া, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও পোল্যান্ডে উচ্চ-প্রস্তুতিমূলক অবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও সেøাভেনিয়ায় আরো ‹যুদ্ধের জন্য তৈরি› সেনাদল মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তীকালে ২০১০ সালে নেটো জোট রাশিয়ার ব্যাপারে নতুন অবস্থান নিয়েছিল। রাশিয়াকে তখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘কৌশলগত অংশীদার’ বলা হতো। তবে এখন তা বদলে যাচ্ছে- জানাচ্ছেন স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেন, ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা ও মূল্যবোধের প্রতি সবচেয়ে বড় ও প্রত্যক্ষ হুমকি হচ্ছে রাশিয়া। তবে নতুন পরিকল্পনাটিতে এই প্রথমবারের মতো ন্যাটো জোটের প্রতি চীনের চ্যালেঞ্জগুলোর কথাও থাকবে। স্টোলটেনবার্গ বলেন, নেটো জোটের অগ্রবর্তী প্রতিরক্ষাকে আরো শক্তিশালী করা হবে, জোটের পূর্বদিকের সদস্য দেশগুলোতে যোদ্ধা গ্রæপগুলোকে ব্রিগেড স্তর পর্যন্ত বাড়ানো হবে, আগে থেকে মোতায়েন করা সরঞ্জামগুলোও উন্নত করা হবে। রয়টার্স। অপরদিকে, পোল্যান্ডে সামরিক উপস্থিতি আরও বাড়াতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ধরনের একটি ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের আগে কয়েকটি বাল্টিক দেশে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটিতেও পরিবর্তনের ঘোষণা আসতে পারে। সেক্ষেত্রে লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার মতো দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়তে পারে। উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রæয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এই অভিযানকে অবৈধ অ্যাখা দিয়ে পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও পোল্যান্ডসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এরমধ্যেই ক্রেমলিনপন্থী একটি রুশ টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনের পর রাশিয়ার পরবর্তী টার্গেট হতে পারে ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ড। রয়টার্স, এনবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।