মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এই পৃথিবী মানুষের যতটা, ততটাই পশু-পাখিদের। কিছু মানুষ অবশ্য একথা ভুলে যান। তবে সকলে ভোলেন না। ভোলেন না বলেই ‘ছবির দেশ কবিতার দেশ’ ফ্রান্সে দেখা গেল মানবিক দৃশ্য। প্যারিস শহরের এক ব্যস্ত রাস্তা নিরাপদে পার হল হাঁস মা ও তার সন্তানেরা, হাঁস পরিবারকে রাস্তা পার করিয়ে দিলেন পুলিশকর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। নিরীহ প্রাণীদের প্রতি পুলিশকর্মীদের এমন আচরণে মুগ্ধ নেটিজেন।
সাম্প্রতিক তবে ঠিক কবেকার এই ভিডিও তা জানা যায়নি। ভিডিও ফুটেজটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন তরুণী অ্যালিক্স গাই। ভিডিও ক্যাপশানে তরুণী লেখেন- “প্যারিস শহরের একটি মিষ্টি দৃশ্য”। সত্যিই তাই। ভিডিওর শুরুতে দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারের একপাশে দাঁড়িয় হাঁস মা তার পুচকে সন্তানেরা। পাশেই এক পুলিশকর্মী। ভিড় আগলে দাঁড়িয়ে তিনি। এরপরেই দেখা যায় থমকে ট্রাফিক। কারণ হাঁস পরিবার তখন রাস্তা পার হচ্ছে। কার্যত হাঁসগুলিকে এসকর্ট করে রাস্তা পার করিয়ে দেন উপস্থিত পুলিশকর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই ভিডিও নিয়ে। মুগ্ধ গোটা পৃথিবীর মানুষ। এখনও পর্যন্ত ১০ মিলিয়ান ভিউ হয়েছে ভিডিটির। লাইক করেছেন ৮.৬ লাখ মানুষ। এইসঙ্গে কমেন্ট বক্স উপচে পড়েছে হাজারও মন্তব্যে। একজন লিখছেন, “আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে মিষ্টি দৃশ্য।” এক নেটিজেন ভারী কথাও বলেছেন। তিনি লেখন, “সব মানুষ খারাপ নয়। তারা (পুলিশকর্মীরা) আমাদের মতোই মানুষ। নিজেদের কর্তব্য পালন করলেন। একবারের জন্য হলেও এমন ঘটনার সাক্ষী থাকল ফ্রান্স।” অধিকাংশ নেটিজেন হাঁস পরিবারকে নিরাপদে শহরের ব্যস্ত রাস্তা পার করিয়ে দেয়া পুলিশদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মানুষমাত্রই নেতিবাচক নন। তার উদাহরণ মাঝেমাঝেই ভেসে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। কিছুদিন আগে একজন বন কর্মকর্তা একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন টুইটারে। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল এক ট্রাফিক পুলিশকে। তিনি পাহাড়ি রাস্তায় পড়ে থাকা নুড়ি-পাথর কুড়োচ্ছিলেন। হাতে হাতেই রাস্তা পরিস্কার করছিলেন। যাতে করে পথ দুর্ঘটনা না ঘটে। ওই ভিডিওর ১.৬ মিলিয়ান ভিউ হয়েছিল। অজ্ঞাতনামা ওই ট্রাফিক পুলিশকর্মীর কর্তব্যবোধ দেখে সকলেই শ্রদ্ধা জানিয়েছিল। সূত্র: এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।