পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
শুরু হয়েছে সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে বিশ্বের সব মুসলমান তাক্বওয়া অর্জনের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইবাদাত-বন্দেগীতে মশগুল থাকেন। অন্যান্য মাসের চেয়ে এই মাসে প্রত্যেক মুসলমান চায় একটু স্বস্তি ও একাগ্রতার সাথে রোজা পালন করতে। বিগত দুই বছরই মহামারি করোনায় পবিত্র রমজান মাস কাটান রোজাদার মুসলিম জনগণ। এবার অবশ্য করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। আমাদের দেশে প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি স্বস্তির সাথে রোজা পালনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়! এবার আগেভাগেই তা আরো যেন ফুলে ফেঁপে উঠেছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ কষ্টে আছেন। কষ্টে পড়েছেন মুমিন মুসলমান। আরব রাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশেই রোজাদারদের কষ্ট লাঘবে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দেয় কিংবা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। সেখানে আমরাই ব্যতিক্রম! কেন এমন হয়, তার সদুত্তর পাওয়া যায়নি। সরকার চাইলে রমজান মাসে মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে উদ্যোগ নিতে পারে। পারে কালোবাজারি ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে। মহান আল্লাহ পাক আমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করেছেন।এই একমাস ইবাদাত-বন্দেগীর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন মুসলমান বাকী মাস ও দিনগুলোতে নিজেদের সঠিকভাবে পরিচালনা করতে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। এই ইবাদাত-বন্দেগীতে যেন কোন ধরনের ছেদ না পড়ে তার জন্য দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা অতীব জরুরি। সরকার, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে রমজান মাসে যেন দ্রব্যমূল্য কোনভাবেই বৃদ্ধি না পায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিতে হবে। রোজাদারগণ যেন স্বস্তির সাথে পুরো মাস অতিবাহিত করতে পারেন সে ব্যাপারে আমাদের সকলকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
শিক্ষক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।