মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কলকাতায় শো করতে এসে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মৃত্যু হয়েছে। অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চেই অসুস্থবোধ করতে থাকেন তিনি। তারপর হোটেলে ফেরার পর রুমে ঢুকে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কেকে-র মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’। কী এই ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’?
ডাক্তারি পরিভাষায় যা ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’, চলতি কথায় তাকেই আমরা বলি ‘হার্ট অ্যাটাক’। হার্টের পাম্পিং ফেল করে যায়। অর্থাৎ কেকে-র মৃত্যুর পেছনে কোনো ‘অন্য’ কারণ নেই বলেই উল্লেখ প্রাথমিক রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, গায়ক কেকে-র মৃত্যু ঘটনায় ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা রুজু করে কলকাতার নিউমার্কেট থানা। শুরু করে তদন্ত। এসএসকেএম হাসপাতালে কেকে-র লাশের ময়নাতদন্ত হয়।
কলকাতায় নজরুল মঞ্চে গত মঙ্গলবার শো চলাকালীনই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন কেকে। ভীষণভাবে ঘামছিলেন তিনি। বার বার মুখ, কপাল, মাথা মুছে নিচ্ছিলেন তোয়ালে দিয়ে। পানি খাচ্ছিলেন ঘন ঘন। যা দেখেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শো-এর মাঝপথেই অস্বস্তি হতে শুরু করে তার। কিন্তু তবুও ‘কমিটমেন্ট’ বজায় রেখে শো শেষ করেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হৃদরোগ মূলত দু’ধরনের। হৃদরোগে আর্টারি ব্লক হয় অনেকের। তার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। আরেক ধরনের হৃদরোগে হৃদযন্ত্র পুরোপুরি কাজ বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনেই প্রাণ হারিয়েছেন কেকে। ফুসফুসে পানি জমে গিয়েছিল তার। অটোপসি সার্জেনদের মতে, বেশ কয়েক বছর যাবৎ হৃদরোগে ভুগছিলেন কেকে। তবে তা নিয়ে বেশ উদাসীন ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী।
সংগীত শিল্পীর স্ত্রী জানান, ব্যস্ততার মাঝে সময়মতো খাওয়াদাওয়া হত না কেকে’র। তার ফলে নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। প্রায় প্রতিদিনই হজমের ওষুধ খেতেন কেকে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ভুরিভুরি ওষুধ খাওয়ার ফলে সমস্যা প্রকট হতে পারে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। জানা গেছে, কলকাতায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার সময় থেকে কাঁধে ও হাতে ব্যথার কথা সঙ্গীসাথীদের বলেছিলেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হৃদরোগের ফলে বড়সড় বিপদ যে আসতে চলেছে, কাঁধে ও হাতে ব্যথাই ছিল তার প্রাথমিক লক্ষণ। সূত্র : জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।