প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বলিউডের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুনাথ মারা গেছেন। হার্ট অ্যাটাকের কারণেই তার মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ কলকাতায় নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে গায়কের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেকে-র মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। এদিকে কেকের মৃত্যুতে দক্ষিণ কলকাতার নজরুন মঞ্চের বিশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, নজরুল মঞ্চে কেকে-র অনুষ্ঠানের আগেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। হলের আসন সংখ্যার তুলনায় বেশি মানুষ অপেক্ষা করছিলেন বাইরে। এক সময় হলের দরজা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হলে দরজা খুলে দেওয়া হয়। এমনকি কেকের অনুষ্ঠান দেখাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় নজরুল মঞ্চের ভেতরে।
আরো জানা গেছে, মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি মানুষ ছিলেন। এখানকার সাধারণ লোকধারণ ক্ষমতা প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার জন। অন্যদিকে মঙ্গলবার অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রায় সাত থেকে সাড়ে সাত হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নজরুল মঞ্চের বাইরেও ছিলও ভিড়। শেষমেষ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যেখানে বাতানুকূল যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়। নজরুল মঞ্চের বাইরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা শুরু হলে হলের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
সব মিলিয়ে সম্পূর্ণ চত্তরে একটি দম বন্ধ করা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেই চড়া লেজার আলো জ্বলছিল মঞ্চে, যা একসময় বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন কেকে। যদিও এই বিষয়ে নজরুল মঞ্চ এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকদের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন— এমন অনেকেই বলছেন, মঞ্চে দরদর করে ঘামছিলেন শিল্পী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে কনসার্টের বিভিন্ন মুহূর্তের ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কে কে স্টেজের এক পাশে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছেন গরমে। ছোট তোয়ালে দিয়ে বারবার ঘাম মুছছেন। আশপাশে যারা ছিলেন, তাদের বারবার বলছিলেন এসি ঠিকমতো কাজ করছে কি না। তবে তিনি নিজেও বুঝতে পারছিলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি ফিরে যান গান গাইতে।
কে কে যখন শেষ পর্যন্ত মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন, তখনকার একটি ভিডিও-ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, এতটাই অসুস্থ বোধ করছেন যে তাকে রীতিমতো ধরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এর পরের আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, হোটেলের রুমে গিয়ে বলতে গেলে বিছানার ওপর লুটিয়ে পড়লেন কে কে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকরা কে কে’র মৃত্যুর পেছনে হার্ট অ্যাটাককেই কারণ মনে করছেন। তবে নজরুল মঞ্চের পরিবেশ আর সার্বিক অব্যবস্থাপনা তাকে হার্ট অ্যাটাকের দিকে ঠেলে দিয়েছে কি না— সেই প্রশ্নই সবার।
নজরুল মঞ্চে অব্যবস্থাপনার এমন অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ফসিলস ব্যান্ডের রুপমের স্ত্রী রুপসা দাশগুপ্ত যেমন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, সম্প্রতি তারা নজরুল মঞ্চে দুইটি শো করেছেন। দু’বারই অভিজ্ঞতা ছিল ভয়াবহ। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ দর্শক উপস্থিত ছিল। মঞ্চে পর্যন্ত উঠে আসত দর্শকরা। আর এসি কাজ করত না। তাতে বদ্ধ পরিবেশে রুপমসহ ব্যান্ডের সদস্যরা সবাই কোনো না কোনো পর্যায়ে বলছিলেন, মঞ্চে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না। আর সেখানে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা থাকেন, কিছু বললেই তাদের উত্তর— এত লোকের মধ্যে এসি কী করে কাজ করবে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।