প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
প্রকাশ্যে জনপ্রিয় পাঞ্জাবি গায়ক ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসওয়ালার হত্যা নিয়ে উত্তপ্ত ভারতের রাজনীতি। একে-৪৭ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় এই গায়ককে। এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। এর মধ্যেই আরো জানা গেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের মূল্য টার্গেট বলিউড সুপারস্টার সালমান খান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণোই। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নেতা সালমান খানকে ১৯৯৮ সালে প্রকোশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। মুসওয়ালার হত্যার পর এ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। ফলে বাড়ানো হয়েছে বলিউডের ভাইজানের নিরাপত্তা। কোন ঝুঁকি নিতে চায় না মুম্বাই পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সালমান খানের নিরাপত্তা সার্বিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। তার অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশেও ২৪ ঘণ্টা পুলিশি টহল থাকবে। যাতে রাজস্থানের এই গ্যাং কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে।
এদিকে পাঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু হত্যার দায় স্বীকার করেছে কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত সে। এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি বিষ্ণোই। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। সংকটে তার জীবন, ‘ফেক এনকাউন্টার’ করে মেরে ফেলা হতে পারে তাকে এমন আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সে।
জানা গেছে, সালমান খানের ওপর বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ক্ষোভের কারণ কৃষ্ণসার হরিণ হত্যাকে কেন্দ্র করে। এই সম্প্রদায় কৃষ্ণসার হরিণকে পবিত্র মনে করে। এই হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সালমান খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে বেশ কয়েকবার সালমান খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে যে জানিয়েছিল, যোদপুরে সালমান খানকে আমরা হত্যা করব। ২০২০ সালের ১৫ আগষ্ট উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় রাহুত ওরফে সাঙ্গা ওরফে বাবা সুরি নামের ২৭ বছরের এক শার্প শ্যুটারকে। পুলিশি জেরায় তিনি স্বীকার করেছিলেন সালমান খানকে হত্যার ছক কষছিল তার দল। এমনকি ভাইজানের বাড়ির রেইকি পর্যন্ত করেছিল লরেন্সের সহযোগীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।