মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগদানের আগেই সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে রক্ষার উপায় খুঁজতে শুরু করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ সদস্যের জোটটি দেশ দুইটির আবেদন অনুমোদন করার আগেই এই উপায় অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
বর্তমানে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে নরডিক দেশ দুইটি জানায় তারা ন্যাটো সদস্যপদ চাইতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে সে আবেদন করা হয়নি। অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সময় লাগে। আর তা শেষ হওয়ার আগে কোনও দেশ ন্যাটোর সামরিক সহায়তা পায় না। ন্যাটো মহাসচিব জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার জানান তিনি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এই আলোচনায় জোটের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার আওতায় আসার আগেই দেশ দুইটিকে সহায়তার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে অন্তর্র্বতী সময়ের জন্য এমন সংযোগ পাওয়া যাবে যা সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট ভালো এবং কার্যকর হবে’। তবে কোন কোন উপায় বিবেচনায় রাখা হচ্ছে সেবিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
ন্যাটো জোটের দীর্ঘ দিনের সহযোগী সুইডেন ও ফিনল্যান্ড গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আনুষ্ঠানিক সদস্য হওয়ার কথা বলছে। ন্যাটো জোটে কোনও দেশ যুক্ত হলে সে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পায়। জোটের কোনও এক দেশ আক্রান্ত হলে জোট ধরে নেয় সব দেশই আক্রান্ত হয়েছে। এরকম ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং সব মিত্ররা সামরিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে।
ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বলেছেন, সদস্যপদ অনুমোদনের আগে সুইডেন কিংবা ফিনল্যান্ডকে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি। তবে এসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির আওতায় ন্যাটো সদস্যপদ ঠেকাতে রুশ আগ্রাসন আটকে দিতে সহায়তা করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড যদি আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে তাহলে আশা করা হচ্ছে কয়েক দিনের মধ্যেই সদস্যপদ অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করবেন জোটের দূতেরা। রাশিয়া এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবে এবং এটিকে নিরুৎসাহিত করতে পদক্ষেপ নেবে বলে ধারণা করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘রাশিয়া যখন ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে আবেদন না করার জন্য ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, তখন এটি প্রমাণ হয় যে, রাশিয়া কীভাবে প্রতিটি দেশের নিজস্ব পথ বেছে নেওয়ার মৌলিক অধিকারকে সম্মান করছে না’। তিনি আরও বলেন, ‘তাই আমরা ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সঙ্গে আলোচনা করছি। আর সেটি তাদের সিদ্ধান্ত, তবে তারা যদি আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেয়, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হবে এবং প্রক্রিয়াটি দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে।’ সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।