মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদ সঙ্গী করে কিইভকে সোভিয়েত আমলের একটি এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট পাঠাতে সেøাভাকিয়ার রাজি হওয়া, ইউক্রেন যুদ্ধ যে নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে তা সবার সামনে দৃশ্যমান করল। কিয়েভের মিত্ররা এখন নতুন করে কেন্দ্রীভ‚ত হওয়া রুশ বাহিনীর আসন্ন হামলা মোকাবেলায় এবং সম্ভাব্য দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনীয় বাহিনীকে প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাঠানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, জানিয়েছে নিউ্ ইয়র্ক টাইমস। রুশ হামলার শুরুর দিকে ন্যাটো দেশগুলো ইউক্রেনকে তাৎক্ষণিকভাবে স্বল্প পাল্লার, ট্যাংক ও বিমানবিধ্বংসী প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠিয়েছিল, যার মধ্যে জেভেলিন, এনএলডবিøউ ও স্টিনজার ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। এগুলো হালকা, সহজে বহনযোগ্য, প্রযুক্তিনির্ভর এবং সামান্য প্রশিক্ষণেই ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু এখন মিত্র সরকারগুলো ট্যাংক ও এস-৩০০ এর মতো ভারি অস্ত্রশস্ত্র পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে, এসব অস্ত্র দনবাসে আসন্ন যুদ্ধে কাজে লাগবে বলেই মনে করছে তারা। রাশিয়ার বানানো ভ‚মি থেকে আকাশে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৩০০ মূলত শত্রæ বিমানকে ধরাশায়ী করতে ব্যবহৃত হয়। “মাঠের বাস্তব পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের সিদ্ধান্ত ঠিক হচ্ছে,” ক‚টনৈতিক আলোচনার জন্য কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সফরে গিয়ে এমনটা বলেছিলেন লিথুয়ানিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারগিরিস আবুকেভিসিয়াস। শনিবার যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে ১২০টি সাঁজোয়া যান এবং নতুন জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে। আগের দিনই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেইনকে ১৩ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। সাঁজোয়া যান ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তার সঙ্গে যুক্ত হল। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, কোনো পক্ষই লড়ার মানসিকতা ত্যাগ না করায় দুই বৃহৎ সেনাবাহিনীর সংঘাত দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে- পশ্চিমা কর্মকর্তাদের এমন অনুমান দিন দিন আরও পোক্ত হচ্ছে। এ কারণেই ইউক্রেইনের অস্ত্রের চাহিদাও বদলাচ্ছে। কিয়েভ বাহিনীর কমান্ডাররা এখন ইউক্রেনের পূর্বে অবস্থিত বিপুল সংখ্যক সেনার সুরক্ষায় তাদের হাতে যেসব অস্ত্র আছে, তার চেয়ে ভালো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও দূরপাল্লার অস্ত্র চাইছেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে এমন কোনো অস্ত্র দিতে রাজি হয়নি, যা দিয়ে রাশিয়ার ওপর ব্যাপক আঘাত হানা সম্ভব। অনেক সমর বিশ্লেষকই বলছেন, রুশ সামরিক বিমান ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি মস্কোর নতুন আক্রমণ মোকাবেলায় ইউক্রেনের সক্ষমতা বাড়াতে পারে। কয়েকদিন আগে জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছিল, তারা দনবাসে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা জোরদারে সেখানে সোভিয়েত আমলে নির্মিত ট্যাংক পাঠাতে মার্কিন মিত্রদের সঙ্গে কাজ করছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বারবারই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছে ট্যাংক ও যুদ্ধবিমান চেয়ে যাচ্ছেন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় ওয়ারশ প্যাক্টে থাকা দেশগুলোতে সোভিয়েতের যেসব অস্ত্র মোতায়েন করা ছিল, ইউক্রেনের বাহিনী সেগুলো চালাতে বেশি পারদর্শী। পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর কাছে এ ধরনের বিপুল অস্ত্রশস্ত্র এখনও আছে; দেশগুলো কিইভকে সেগুলো দিতেও চাইছে, তবে তার বদলে তাদের দরকার অত্যাধুনিক বিকল্প অস্ত্রশস্ত্র। সেøাভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার জানান, তার দেশ ইউক্রেনকে এস-৩০০ দিয়েছে; এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সেøাভাকিয়ায় তাদের প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোর ঘোষণা দেয়। সেøাভাকিয়ার ওই এস-৩০০ ইউক্রেইন এরই মধ্যে ইউক্রেইনে যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েন করেছে কিনা, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। ইউক্রেনীয়দের কাছেও একই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে, এটি কী করে চালাতে হয় তা তারা জানে। এস-৩০০ একসঙ্গে একাধিক রুশ বিমানের হামলা মোকাবেলায় বেশ কার্যকর ভ‚মিকা রাখবে বলেই মনে করা হয়। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর প্রায় ৭০ শতাংশ শক্তি এখনও অক্ষুণ্œ, কিন্তু যুদ্ধে বিমান হারালে সেগুলোর বদলে অন্য বিমান পাওয়া কষ্টকর হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে কিয়েভের সামরিক কমান্ড ওই বিমানগুলো ব্যবহারে ইতস্তত করছে, ভাষ্য তার। এর বাইরে ইউক্রেনের আরও গোলাবারুদ ও কামানও দরকার; এমনকী ছোট, মাঝারি-পাল্লার ড্রোনও যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারে, বলছেন ভিন্ডামান। নিউ ইয়র্ক টাইমস, রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।