Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ বন্দির মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২২, ৪:১২ পিএম

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই বন্দির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দুই হাজতীকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম। এক জন বন্দির স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ৯ দিন আগে গ্রেফতারের পর চন্দনাইশ থানায় পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছিলেন ওই বন্দি। এতে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। দুই হাজতী হলেন- চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের রফিক উদ্দিন (৪৫) ও একই উপজেলার দোহাজারির হাছনদ-ী গ্রামের বাবুল মিয়া (৩৪)।

রফিকের মৃত্যুর বিষয়ে জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম জানান, ভোর পৌনে ৫টার দিকে রফিক বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর চিকিৎসক আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। রফিকের ভাই জামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে বিদেশ থেকে ফেরেন জামাল। স্থানীয়ভাবে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিদেশ থেকে ফিরে তিনি ৫০ কানি জমি কেনেন। ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের সঙ্গে তার বিরোধ আছে। এর জের ধরে তার বসতঘরে কয়েকবার হামলা হয়েছে। ২৬মার্চ জামালের চাচী মারা যান। দাফন শেষে বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ার পর সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করে। রফিককে পিটিয়ে আহত করে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রফিক থানায় মামলা করতে গিয়ে জানতে পারেন, প্রতিপক্ষ আগেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
জামালের অভিযোগ, পুলিশ রফিকের মামলা না নিয়ে তাকে প্রতিপক্ষের মামলায় গ্রেফতার করে। থানার ওসি’র অনুপস্থিতিতে একদল পুলিশ রফিককে আবারও বেধড়ক পেটায়। তার হাতে-পায়ে, শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়। আহত অবস্থায় তাকে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, থানায় মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। তারা নিজেরা দুই গ্রুপে মারামারি করেছিল। মারামারির ঘটনায় পৃথকভাবে দু’টি মামলা নেওয়া হয়েছিল। রফিকের মামলাও গ্রহণ করা হয়েছিল।
এদিকে কারাগার থেকে আরেক হাজতি বাবুল মিয়াকে ভোর ৬টার দিকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর ৬টা ১৩ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ