নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুই অধিনায়ক। দুই অফস্পিনার। দুই জনেরই ম‚ল কাজটা ব্যাটিং। সেই দুই জনই পেলেন পাঁচ উইকেট করে। তাতে দিন শেষে হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছেন শুভাগত হোম চৌধুরী। অথচ দিনের শুরুতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো ফাইফার পাওয়ার উল্লাসে মেতেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গতকাল সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় মোহামেডান। জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় ব্রাদার্স।
এদিন আশরাফুলের ঘুর্ণিতে এলোমেলো হয়ে যায় মোহামেডান। তার উইকেট প্রাপ্তির শুরুটা হয় মোহাম্মদ হাফিজকে দিয়ে। এরপর একে একে রনি তালুকদার, সোহরাওয়ার্দী শুভ ও শুভাগত হোমকে তুলে ইয়াসির আরাফাত মিশুকেও আউট করেন। পেয়ে যান প্রথম ফাইফারের স্বাদ। অথচ নিয়মিত বোলার নন আশরাফুল। এর আগে কখনোই কোটা প‚রণ করেননি। এদিন প্রথম পাঁচ উইকেট পাওয়ার দিনে আরও একটি প্রথমের স্বাদ পেয়েছেন ব্রাদার্স অধিনায়ক। প্রথমবারের মতো ১০ ওভারের কোটা পূরণ করেছেন। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই উইকেট পাওয়ার ম্যাচে করেছিলেন সর্বোচ্চ নয় ওভার।
আশরাফুলের দিনে মোহামেডানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রনি তালুকদার ও জাহিদুজ্জামান খান। ওপেনিংয়ে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৬০ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন রনি। আর আট নম্বরে নামা জাহিদ ৬৩ বলে ২টি চারে করেন ৪১ রান। এছাড়া হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। ব্রাদার্সের পক্ষে ২৩ রানের খরচায় ৫টি উইকেট পান আশরাফুল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুভাগতর ঘূর্ণিতে পড়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ব্রাদার্স। ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন এক প্রান্ত আগলে ৪২ রান করেন। এছাড়া আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৩৬ ও ধীমান ঘোষ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন। লিস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইফার তুলে মোহামেডানের হয়ে ২৫ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন শুভাগত। যা তার ক্যারিয়ার সেরাও বটে। এছাড়া ২টি শিকার নাজমুল হোসেন অপুর।
একই দিন বিএকএসপির ৩ নম্বর মাঠে দিনের অপর ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১৪ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৬.৪ ওভারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। লক্ষ্য তাড়ায় ৪৪ ওভারে ১৩২ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর। লো স্কোরিং ম্যাচে রাহাতুল ফেরদৌস, নাঈম হাসান ও হাসান মুরাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শেখ জামাল। তবে রবিউল ইসলাম রবির ৪৮ ও ইমরুল কায়েসের ৩৯ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। ৩৫ রানের বিনিময়ে রাহাতুল নেন ৪টি উইকেট। হাসান ও নাঈম ২টি করে উইকেট পান।
জবাবে সানজামুল ইসলাম ও তাইবুর রহমানের ঘ‚র্ণিতে শুরু থেকে উইকেট হারায় শাইনপুকুরও। সাজ্জাদুল হক রিপনের ৩৮ ও মাহিদুল ইসলাম অংকনের ৩১ রানেও যথেষ্ট হয়। ১৪ রান দ‚রেই থামতে হয় তাদের। ৩৩ রানের খরচায় সানজামুল ৪টি উইকেট পান। ৩টি শিকার তাইবুরের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।