নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ক্রিকেটে একসময়ের সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দেশজুড়ে রয়েছে তার অসংখ্য ভক্ত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য বদলে গেছে দৃশ্যপট। ম্যাচ ফিক্সিং, আইএসএলে যোগদানসহ নানা বিতর্কিত কাণ্ডে এখন আশরাফুলের ঘরোয়া লিগেও দল পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও খেলার সুযোগ পাননি বিপিএলে।
বিপিএলে দল না পেয়ে জেদ চেপে বসেছিল হয়তো আশরাফুলের মনে। ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। প্রায় ১৩ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন তিনি। এ বছরে করোনার জন্য সব ওলট-পালট হয়ে গেলেও জুলাই মাসে অনুশীলনে ফেরেন আশরাফুল। নিজ উদ্যোগে অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তিনি। সাথে রেখেছিলেন কোচ সারোয়ার ইমরানকে।
অবশেষে আশরাফুল দল পেয়েছেন দেশি ক্রিকেটার নিয়ে আয়োজিত হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টির আসর বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে। প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে তাকে ষষ্ঠ ডাকে কিনে নিয়েছে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। সুযোগ পেয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক।
আশরাফুল এখন স্বপ্ন দেখেন আবারও জাতীয় দলে ফেরার, বিশ্বাস রেখেছেন অন্তত একটি ম্যাচ হলেও বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলবেন তিনি। সে লক্ষ্যে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। নিজের বাসা বনশ্রী থেকে বেশ দূরের কেরানীগঞ্জে তেঘোরিয়া মাঠে গিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করছেন তিনি।
আবারও জাতীয় দলে খেলাই তার মূল লক্ষ্য। বিশেষ করে ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসার প্রতিদান দেয়ার জন্য হলেও অন্তত একটি ম্যাচ খেলতে চান জাতীয় দলে। সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের ইউটিউব চ্যানেল নট আউট নোমানে সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন আশরাফুল।
তেঘোরিয়া মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন কিন্তু একটাই, আবার বাংলাদেশের হয়ে খেলব। আমার এ স্বপ্নের পেছনে বড় শক্তি হলো আমার ভক্তরা। কারণ দেশে ও দেশের বাইরে আমার অনেক সমর্থক এখনও বিশ্বাস করে যে, দেশকে আমি আরও সার্ভিস দিতে পারব। আমিও বিশ্বাস করি যে, অন্তত একদিন হলেও খেলব বাংলাদেশ দলে।’
আশরাফুল আরও যোগ করেন, ‘সেলক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতেই আমি প্রতিদিন... আমার বাসা বনশ্রী, সেখান থেকে ধানমন্ডি গিয়ে দৈনিক ৩-৪ ঘণ্টা জিম করেছি। আসলে আমি গত ৭-৮ বছর ধরে দেশ ও দেশের বাইরে সে সমর্থনটা পাচ্ছি, তাদের জন্য হলেও যেন আমি একটা ম্যাচ খেলতে পারি। সেজন্যই আসলে আমি কষ্ট করে যাচ্ছি।’
বারবার অন্তত এক ম্যাচের কথা বললেও, আশরাফুলের বিশ্বাস তিনি এখনও ২-৩ বছর জাতীয় দলে খেলতে পারবেন। তার ভাষ্য,’একটা ম্যাচ তো আসলে স্রেফ বলার জন্য। আমি বিশ্বাস করি, আমি দেশকে অন্তত আরও ২-৩ বছর দেশকে সার্ভিস দিতে পারব।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৭-১৮ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আসরে পাঁচটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন আশরাফুল। তখনও তিনি বলেননি যে, জাতীয় দলের জন্য খেলার জন্য প্রস্তুত আছেন। তবে এখন ফিটনেসের উন্নতি ঘটিয়ে আশরাফুলের বিশ্বাস, জাতীয় দলে খেলতে প্রস্তুত তিনি।
৩৬ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের ভাষ্য, ‘আমি যখন ৫টা সেঞ্চুরি করেছিলাম, তখনও কিন্তু আপনাদের (মিডিয়া) বা কাউকেই বলিনি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত আছি। তখনও বলেছি যে আমার ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে এখন আমি বিশ্বাস করি যে, আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে প্রস্তুত আছি।’
এসময় আসন্ন টি-টুয়েন্টি কাপে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘আমি সেরা পারফরমার হতে চাই, সেরাদের তালিকায় থাকতে চাই। যেহেতু আমি স্বপ্ন দেখি জাতীয় দলে খেলার, এই খেলাটা আবার সরাসরি দেখানোও হবে। তাই এই জায়গাটায় আমি চাইব, আমাকে যেন ২-৩ ম্যাচ খেলার সুযোগ দেয়া হয়। তাহলে আমি সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব আশা করি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।