প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বনশালির গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি ছবি নিয়ে বর্তমানে চর্চার অন্ত নেই। মহামারীর কোপে শুটিং আটকে কোটি টাকার সেট নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে বারবার মুক্তি পিছনো, এমনকী এই সিনেমার জন্য আইনি জটিলতাতেও ভুগতে হয়েছে পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালি ও আলিয়া ভাটকে। যিনি কিনা এখানে গাঙ্গুবাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। আদতে কে ছিলেন এই গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি? কারা এবং কেন আপত্তি তুলেছিলেন তার জীবনকাহিনী অবলম্বনে তৈরি সিনেমা নিয়ে? জানুন বিশদে।
প্রথমেই আসা যাক, গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়িয়ের পরিচয়ে। গুজরাতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক মহিলা। যার আসল নাম গঙ্গা হরজীবনদাস কাঠিয়াওয়াড়ি। পাঁচ কি ষাটের দশক নাগাদ মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে নিজের স্বামীর হাতে মুম্বাইয়ের কুখ্যাত যৌনপল্লী কামাথিপুরাতে বিক্রি হয়েছিলেন। সেই সময়ে কামাথিপুরার ডাকসাইটে মহিলা তিনি। অনেকের কাছেই ‘মুম্বই মাফিয়া কুইন’ নামে পরিচিত। যার অনুমতি ছাড়া কামাথিপুরার অন্ধকার গলিতে যেমন সূর্যের আলো ঢোকা নিষিদ্ধ ছিল, ঠিক তেমনই গাঙ্গুবাইয়ের অঙ্গুলি হেলন ব্যতীত কোনও কাক-পক্ষীর প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। কিন্তু একদিনে এই অসাধ্য সাধন হয়নি। সেই যৌনপল্লীর গণিকাদের অধিকারের জন্য তিনিই প্রথম মুখ খুলেছিলেন।
গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ির খ্যাতনামা হওয়ার নেপথ্যের বেশ কয়েকটা কারণ হুসেন জায়েদির ‘মুম্বাই মাফিয়া ক্যুইন’ বইতে লেখা রয়েছে। সমাজে গণিকাদের অধিকারের জন্য লড়া থেকে শুরু করে তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য স্কুল-কলেজে গিয়ে কথা বলা, সমাজে যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেইজন্য গাঙ্গুবাঈ একাই লড়ে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অধিকার আদায়ও করে নিয়েছিলেন। আর তার অদম্য লড়াইয়ের জন্যই রাজনৈতিক দলেও ডাক পেয়েছিলেন।
সাতের দশকের মাঝামাঝি গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি মারা যান। তার নিজের কোনও সন্তান ছিল না। যদিও তার মৃত্যুর বেশ কয়েকজন দাবি করেছিলেন যে, তাদের নাকি গাঙ্গুবাই নিজে দত্তক নিয়েছিলেন। যদিও সেই সম্পর্কিত কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। মুম্বাইয়ের এই ডাকসাইটে গণিকার জীবনকাহিনি অবলম্বনে বনশালি সিনেমা ঘোষণা করার পর থেকেই তাদের মধ্যে জনা কয়েক আপত্তি তোলেন। এমনকী মুক্তি আটকে দেওয়ার দাবি তুলে আদালতেও মামলা করেন।
কোর্টের তরফে সমন পাঠানো হয়েছিল পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালি ও আলিয়া ভাটকে। মামলাকারী দাবি করেছিলেন যে তিনি গাঙ্গুবাইয়ের দত্তক সন্তান। যদিও আদালতে তথ্য-প্রমাণাদির অভাবে সেই মামলা ধোপে টেকেনি। এবার শেষমেশ ২৫ ফেব্রুয়ারি সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসতে চলেছে ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াওয়াড়ি’। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।