গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পল্লবীর লালমাটিয়া ট্রাক স্ট্যান্ডে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম মো.রায়হান (২৬)।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা রাজু মিয়া জানান, আমার ছেলে গার্মেন্টসে চাকরি করে। রাত ৯টার দিকে আমার আরেক ছেলের জন্য ওষুধ আনতে যায় রায়হান। পল্লবীর লালমাটিয়া ট্রাক স্ট্যান্ডে গেলে ছিনতাইকারীরা তার পথরোধ করে। তার কাছে থাকা গার্মেন্টসের বেতনের টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এরপর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে গেলে রায়হান বাধা দেওয়ায় তার পেটে এলোপাতারী ভাবে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায় তারা।
তিনি বলেন, পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমি খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রায়হান পল্লবীর ১১ নম্বর সেকশনের পলাশ নগর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিলো সবার বড়। গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর এলাকায়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, পল্লবী থেকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রায়হান নামে এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আহাদ আলী বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা হলে তার কাছে থাকা মোবাইল-মানিব্যাগ নিয়ে যেত। আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্তে জানতে পেরেছি পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে কেউ হত্যা করেছে। তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।