বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে নাসরিন বেগম (৫৫) নামের এক বৃদ্ধার পা ভেঙ্গে দিল প্রতিপক্ষের মুস্তাকিন সরকার নামের এক যুবক। এ ঘটনা বুকের খাচা ভেঙ্গে গুরুত্বর আহত হন, তিনি মাজেদা বেগম (৭৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুরুত্বর আহত মাজেদা বেগম (৭৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে উপজেলার ১২নং ফরাজিকান্দি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত নাসরিন বেগম ওই বাড়ির ইউনুস সরকারের স্ত্রী। নিহত মাজেদা বেগম আহত নাসরিন বেগমের মা।
ঘটনার পর আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও দ্বিতীয় দফায় ওই যুবক তাদের ওপর হামলা করে।
নিহতের স্বজনরা জানায় একই বাড়ির মৃত রাজ্জাক সরকারের পুত্র মুস্তাকিন সরকারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ সম্পত্তিগত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকটি সালিশ দরবার এবং চাঁদপুর আদালতেও তাদের একটি মামলা চলমান রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রায় ৪/৫ বছর পূর্বে মুস্তাকিন সরকার তাদের বাড়ির জমিতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করেন। নির্মাণকৃত বিল্ডিংয়ের জমি আহতদের পরিবারের দাবি করায় মুস্তাকিন সরকার এলকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সকলের সম্মতিক্রমে সার্ভেয়ার দিয়ে বাড়িতে জমির মাপ আনেন এবং মাপ হওয়ার পর নির্মাণকৃত সে বিল্ডিং আহতদের জমির অংশতেই পড়ে বলে জানান। তখন তাদের জমি থেকে বিল্ডিং সরিয়ে নেওয়ার কথা বললে ওই সময় মুস্তাকিন ও তার পরিবারের লোকজন একইভাবে তাদের উপর হামলা চালিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করেন বলে আহতরা জানিয়েছেন।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মোস্তাকিন সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে।
মামলা চলমান থাকার পরেও ঘটনার দিন সকালে মোস্তাকিন সরকার বিরোধকৃত এবং নির্মানকৃত বিল্ডিংয়ের পাশের জমিতে মাটি কেটে এবং বেড়া দিয়ে জোরপূর্বক দখল করতে গেলে অসহায় বৃদ্ধা নাসরিন বেগম তাতে বাধা প্রদান করলে মুস্তাকিন সরকার দেশীয় অস্ত্র এবং হকিস্টিক দিয়ে বৃদ্ধাকে একা পেয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেন বলে তাদের অভিযোগ। এসময় আহত নাসরিন বেগমের মাতা বৃদ্ধা মাজেদা বেগম তার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে মুস্তাকিন ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম তাকেও মেরে গুরুতর আহত করেন।
তারা জানান মুস্তাকিন সরকার গংরা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় দফায় দফায় এরকম হামলার শিকার হয়ে তারা খুবই আতঙ্কের সাথে দিনযাপন করছেন। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।