প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
নিজেকে সোনায় মুড়ে রাখা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল তার। সোনা তার কাছে ছিল সৌভাগ্যের প্রতীক। শেষ জন্মদিনে নিজেই নিজেকে উপহার দিয়েছিলেন সোনার পেয়ালা।
১০ আঙুলে ১০ রকমের আংটি। কব্জিতে চওড়া মণিবন্ধ। গলায় রত্ন খচিত নানা ধরনের পেনডেন্ট, হার। তার অঙ্গ জুড়ে সর্বক্ষণ শোভা পেত নানা ধরনের অলঙ্কার। এই সোনার গহনাই ছিল সদ্য প্রয়াত বাপ্পি লাহিড়ীর স্টাইল। সোনার গহনা ছাড়া যেন কল্পনাও করা যেত না এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সুরকারকে।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সে সময় সম্পত্তির হলফনামা দায়ের করার সময় নিজের সোনার গয়নার হিসাবও দিতে হয়েছিল এই সংগীতশিল্পীকে। হলফনামায় তিনি জানিয়েছিলেন, ৭৫৪ গ্রাম বা প্রায় ৬৫ ভরি সোনার গহনা রয়েছে তার। সঙ্গে ৪.৬২ কিলোগ্রামের রূপার গহনা। এ ছাড়াও চার লাখ রুপির একটি হীরার আংটিও রয়েছে। তারপর থেকে আট বছর পার হয়েছে। তার গহনার বাক্সে সম্ভবত আরও সোনাদানা ঢুকেছে।
প্রতিটি গহনার দেখভালের জন্য আলাদা করে কর্মীও নিয়োগ করেছিলেন তিনি। সেই সহকারী নিয়মিত গয়নাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণও করতেন।
কানাঘুষা আছে, একটি করে অ্যালবাম মুক্তি পেতেই একটি করে সোনা বা হীরার গয়না কিনতেন বাপ্পি। তার সংস্কার ছিল, তা হলেই তার গান সোনার মতোই চমকাবে সবার হৃদয়ে। প্রতিটি গহনার জন্য আলাদা করে বাক্সও ছিল। যেখানে দিনের শেষে পরিচ্ছন্ন করে রেখে দেওয়া হত যাবতীয় গহনা।
গহনার ব্যাপারে বিষয় রক্ষণশীলও ছিলেন এই গায়ক। তার অন্য কেউ স্পর্শ করবে, সেটাও সহ্য করতে পারতেন না। অনেকেই নতুন গহনা ছুঁয়ে দেখতে পছন্দ করেন। বাপ্পি লাহিড়ীর তাতেও আপত্তি ছিল। কেউ যাতে তার শরীর এবং গয়না স্পর্শ করতে না পারে, তার জন্য সবার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতেন।
তবে প্রকৃতির নিয়মে সব গহনা রেখে বিদায় নিয়েছেন বাপ্পি লাহিড়ী। অনুরাগীদের মনে কোটি টাকার প্রশ্ন, এবার তার সেই সাধের গহনাগুলোর কী হবে? কে পাবেন প্রয়াত শিল্পীর এত অলঙ্কার?
বাপ্পি লাহিড়ীর এক পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, শিল্পীর দুই সন্তান বাপ্পা আর রেমা ঠিক করেছেন বাবার বাকি জিনিসের মতোই গহনাগুলোও তারা সংরক্ষণ করবেন। দুটি ভাগে রাখা হবে সব গহনা। একটি ভাগে থাকবে তার প্রতিদিন পরার গয়না। অন্য ভাগে থাকবে তুলে রাখা গয়না। সেগুলোর বাক্স আলাদা।
এ ছাড়াও, এই সোনাপ্রীতির জন্যই তিনি নানাজনের থেকে সোনার গহনা, মূর্তি বা টোকেন উপহার পেতেন। সেগুলোও সংরক্ষিত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।