পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
মসজিদে আসরের নামজ পড়ছিলাম, হঠাৎ করেই মসজিদের বাইরে বেজে উঠে উচ্চ শব্দের গান, গানের তালে তালে চলছে প্রাইভেট হাসপাতালের প্রচারণা। এই রকম শব্দদূষণের কারণে অতিষ্ঠ নগরের সাধারণ জনগণ। রিকশায় মাইক বেঁধে উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো, বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার চালানোর জন্যই এই শব্দদূষণ হচ্ছে। এই শব্দদূষণের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রোগী, স্কুল-কলেজে পড়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। মানুষের স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের অধিক শব্দ যদি দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা এবং ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতাও হতে পারে। দেশে এ সংক্রান্ত আইন শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ থাকলেও তা কেউ মানছে না। এই বিধিমালা অনুযায়ী নিরব, আবাসিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়, হাসপাতালের সামনে এবং আবাসিক এলাকায় হর্ন বাজানো, মাইকিং করা সেইসঙ্গে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জোরে শব্দ সৃষ্টি করা আইনত দÐনীয়। তবে সেই আইনের কোনো প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায় না। শব্দদূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পেছনে একেই প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা যায়। অতিরিক্ত মাত্রায় শব্দদূষণের কারণে ইতোমধ্যে দেশের প্রায় ১২% মানুষ শ্রবণশক্তি হ্রাস পেয়েছে বলে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি জরিপে উঠে আসে। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ, ফুসফুসজনিত জটিলতা, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্মরণশক্তি হ্রাস, মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা। এ ব্যাপারে নিয়মিত সচেতনামূলক প্রচার-প্রচারণা করে এবং শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলে সমাজে কার্যকর প্রভাব পড়বে বলে আশা করি। তাই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিবেচনায় নেয়ার দাবি জানাই।
শিক্ষার্থী, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।