পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শব্দদূষণ নীরব ঘাতক। শব্দদূষণের ভয়াবহতার ফলে সাধারণ নাগরিক সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শব্দদূষণের উৎসগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উৎস হলো গাড়ি। দিনদিন গাড়ি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা শব্দদূষণের বিষয়ে সচেতন হলে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। পরিবেশের যথাযথ সংরক্ষণের উপরই নাগরিকদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা নির্ভরশীল। গতকাল পরিবেশ অধিদফতর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এর আওতায় পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এরই মধ্যে পরিবেশ অধিদফতর ১৪টি প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে প্রায় ১৪০০ চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি বলেন, সরকারি ড্রাইভারদের এ ধরনের প্রশিক্ষণ অন্যদের এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে সহায়তা করবে। তিনি মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ আয়োজনের প্রেক্ষিতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়, দফতরের ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা পরামর্শ দেন। আগামী প্রজন্মকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণযুক্ত একটি শহর উপহার দিতে সকলতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলে তিনি পরার্মশ দেন।
উল্লেখ্য, কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদফতরের চালকরা হর্ন না বাজানোর শপথ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সূচনা বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বীত ও অংশীদারিত্বদূলক প্রকল্পে পরিচালক মো: হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদফতরের চালকদের জন্য প্রশিক্ষণ। পরবর্তী সময়ে সকল মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য পরিবহন চালকের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। তিনি চালকদের সরকারি দফতর/মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি করে বিধায় তাদের ট্রাফিক আইন, সরকারি বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনে আহŸান জানান, যাতে তাদের দেখে অন্যরা শিখতে পারে এবং অন্যান্য চালকদের শব্দদূষণ বিষয়ে সচেতন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।
কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপনায় পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা বলেন, শব্দদূষণের ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ অধিদফতর ২০২০-২২ মেয়াদে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।
অপর এক প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি বলেন, পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের জীবন সহজ হয়ে উঠছে। সেই সাথে আমাদের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। শব্দদূষণ শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের উপরে প্রভাব ফেলে। শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্লান্তি, অবসাদ, অনিদ্রা, মানসিক চাপ ইত্যাদি রোগেরও অন্যতম কারণ শব্দদূষণ। শব্দদূষণে শিশুদের স্বাস্থ্যে ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যে ও তাদের আগত সন্তানদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
বিআরটিএ এর পরিচালক লোকমান হোসেন মোল্লা বলেন, বিআরটিএ শব্দদূষণ বিষয়ে সচেষ্ট। আমাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমগুলোতে এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করেছি। পরিবেশ অধিদফতরের সাথে আমরা একসাথে এই বিষয়ে কাজ করে যাবো।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে শব্দ সৃষ্টি হলেও গাড়ি হচ্ছে অন্যতম কারণ। রাইড শেয়ারিং এর কারণে গাড়ির সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই চালকরা যদি সচেতন না হয়, তাহলে শব্দদূষণের মতো নীরব ঘাতককে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদফতরের চালকরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।