মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহামারির কারণে ২ বছর বন্ধ রাখার পর অবশেষে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সরকার। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন সোমবার এই ঘোষণা দিয়েছেন। এইদিন রাজধানী ক্যানবেরায় দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদেশি পর্যটকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ’২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। -রয়টার্স
তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে যারা করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত। সীমান্ত বন্ধ থাকায় গত দুই বছরে ব্যাপক লোকসানের শিকার অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন খাত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি পর্যটন পরিষেবা সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান ট্যুরিজম এক্সপোর্ট কাউন্সিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিটার শেলি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ সম্পর্কে বলেন, আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে উৎফুল্ল। কারণ গত দুই বছর সীমান্ত বন্ধ থাকায় আমাদের পর্যটন খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গেছে।
তিনি বলেন, এখন সময় ও এসেছে এই খাতকে পুনরুজ্জীবিত ও পুনর্গঠিত করার। আমাদের সামষ্টিক প্রচেষ্টা ছাড়া এটি সম্ভবপর নয়। অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন খাত বিষয়ক সরকারি গবেষণা সংস্থা ট্যুরিজম রিসার্চ অস্ট্রেলিয়ার (টিআরএ) তথ্য অনুযায়ী, দুই বছরের সীমান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন খাতে মোট যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ১০৭.৭ বিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলারের (৭২ বিলিয়ন ডলার) সমান। করোনা দৈনিক সংক্রমণ ঠেকাতে মহামারির শুরু থেকেই লকডাউন, কঠোর করোনাবিধি ও সীমান্ত বন্ধ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। চীন, সিঙ্গাপুর ও প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডকে অনুসরণ করে নেওয়া ‘জিরো কোভিড নীতি’র আওতায় এসব পদক্ষেপ নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার।
বহুদিন পর্যন্ত এই নীতির সুফলও ভোগ করেছে দেশটি। গত দুই বছরে যেসব দেশে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যু সবচেয়ে কম হয়েছে সেসবের মধ্যে অন্যতম ছিল অস্ট্রেলিয়া। করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে অবশ্য এখন আর আগের পরিস্থিতি নেই দেশটিতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লেও করোনায় গুরুতর অসুস্থতা ও হাসপাতালে ভর্তির হার এখনও অনেক কম দেশটিতে। কারণ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার ১৬ ও তার চেয়ে বেশি বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।