প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
১৫ বছর আগের একটি মামলা থেকে অবশেষে রেহাই পেলেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি। রাজস্থানে একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে চুম্বনের কারণে শিল্পা এবং হলিউড তারকা রিচার্ড গেয়ারের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ আনা হয়, ওই ঘটনায় তুমুল শোরগোল হয় এবং দুই তারকার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছিল। ২০০৭-এর সেই মামলাতেই রেহাই পেলেন শিল্পা শেঠি। অবশেষে স্বস্তি এল আদালতের রায়ে।
২০০৭ সালে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন শিল্পা ও রিচার্ড। ভরা সমাবেশে আচমকাই শিল্পাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান হলিউড অভিনেতা। হইহই পড়ে যায় চতুর্দিকে। অশ্লীলতার অভিযোগ এনে রাজস্থান এবং গাজিয়াবাদে মোট তিনটি মামলা দায়ের হয় দুই তারকার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, জেনে বুঝে, ইচ্ছাকৃত ভাবেই প্রকাশ্যে ওই ঘটনা ঘটিয়েছেন শিল্পা ও রিচার্ড।
অবশ্য বলিউড অভিনেত্রী তখনই আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে তিনি সেই মুহূর্তে রিচার্ডের আচরণের প্রতিবাদ করতে পারেননি। কিন্তু তার জন্য স্রেফ কল্পনার ভিত্তিতে তাকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যায় না। এই মামলা থেকে মুক্তির আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী মুম্বইয়ের আদালতে মামলাটি স্থানান্তরিত করার আর্জি জানালে ২০১৭ সালে সেই অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
অবশেষে আদালত জানিয়েছে, শিল্পার বিরুদ্ধে ওঠা ইচ্ছাকৃত অশ্লীলতা ভিত্তিহীন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেতকী চহ্বান জানান, ঘটনার পরেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই ব্যাখ্যা, পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট এবং যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে তার অভিমত, এই ঘটনায় শিল্পার কোনও ভূমিকা ছিল না। তার পরেই সমস্ত অভিযোগ থেকে বলিউড অভিনেত্রীকে মুক্তি দেয় আদালত।
এক দিকে, নিজের বিরুদ্ধে এই পুরনো মামলা এবং অন্য দিকে গত বছর বিরুদ্ধে পর্ন ছবি তৈরি এবং ইন্টারনেটে তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে স্বামী রাজ কুন্দ্রার গ্রেপ্তারি, সব মিলিয়ে নাজেহাল ছিলেন শিল্পা। কিছু দিন হল জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজ। এ বার পুরনো অশ্লীলতার মামলা থেকে রেহাই পাওয়া আরও খানিকটা স্বস্তি দিল বলিউড অভিনেত্রীকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।