মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে এবং দ্বিপক্ষীয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ন্যাটো। কিন্তু একই সঙ্গে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যেকোনো রুশ আগ্রাসনের ক্ষেত্রে এই জোট ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান। ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য সমাবেশ নিয়ে কথা বলতে ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। জোটের মহাসচিব ইয়েনস স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, এখনও সীমান্তটিতে সেনা সমাবেশ চলছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন করি।’’ ন্যাটো কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব অস্বীকার করতে পারে না, এবং জোটের সদস্যপদ নেয়া বা না নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্তকে সম্মান জানায় বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বৈঠক শেষে স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘‘আমরা মস্কোর সঙ্গে পারমাণবিক এবং সাধারণ, সব অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংলাপে আগ্রহী। কিন্তু এটা পারস্পরিক হতে হবে। আমরা এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে পারি না, যেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির ন্যাটো সদস্য থাকবে যাদের আমরা রক্ষা করতে সক্ষম হবো না। তিনি বলেন, ‘‘সংঘাতের ঝুঁকিটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। রাশিয়ার আগ্রাসী মনোভাব ইউরোপের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলছে।’’ ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রকে একগাদা দাবিসম্বলিত একটি তালিকা দেয় রাশিয়া। এসব দাবির মধ্যে একটি ছিল পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর মোতায়েন করা সৈন্য প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে আর সদস্য না বাড়ানোর দাবিও। ন্যাটো অনানুষ্ঠানিকভাবে এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ন্যাটো কীভাবে কাজ করবে বা কারা সদস্য হবে এ বিষয়ে রাশিয়ার কোনো আপত্তি থাকতে পারে না বলে জানিয়েছে জোটটি। অন্যদিকে ইউক্রেন সীমান্তে এরই মধ্যে এক লাখের কাছাকাছি সৈন্য সমবেত করেছে রাশিয়া। ন্যাটোর মিত্র রাষ্ট্র সুইডেন ও ফিনল্যান্ড জানিয়েছে, তাদের জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তও একেবারেই তাদের নিজস্ব অধিকারের বিষয়। লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডগার্স রিংকেভিকস বেশ ‘ভালো আলোচনা’ হয়েছে বলে এক টুইট করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ার সঙ্গে আমরা আলোচনায় আগ্রহী, কিন্তু সেটা নিজেদের মূল্যবোধ ও নীতি বিসর্জন দিয়ে নয়।’’ তবে রাশিয়াকে কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে মোকাবিলায় করা যায়, এ নিয়ে কূটনীতিকদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। বার্তাসংস্থা এএফপিকে এক ফরাসি সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘রাশিয়া আমাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়, এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এমনকি যদি রাশিয়ার দাবিগুলো আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হয়, তবুও।’’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকজন নেতা, যেমন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডের লেয়েন এবং মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের প্রধান ইইউকে আরো বেশি সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তবে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় তাহলে ‘ব্যাপক আকারে পালটা ব্যবস্থা› নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রিও কুলেবাকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সর্বাত্মক সমর্থন দিবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামি সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকে বসবেন রুশ ও মার্কিন কর্মকর্তারা। বুধবার ন্যাটোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাশিয়ার বৈঠক রয়েছে। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম ন্যাটো-রাশিয়া কাউন্সিলের বৈঠক হবে। এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।