পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জোড়া খুনের মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং একজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আজাহারউল্লাহ ভুইয়া বলেন, আদালত ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছেন। অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি বিবেচনায় নিয়ে ৩ আসামির বহাল রেখেছেন। আরেকজন আসামিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ কমিয়ে ১০ বছরের দন্ড দিয়েছেন। তবে তিনজন পলাতক রয়েছেন। তাদের আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হাইকোর্ট রায় ঘোষণার সময় উষ্মা প্রকাশ করেছেন যে, আইন ও সাক্ষ্য-প্রমাণ যথাযথভাবে বিবেচনায় না নিয়ে খেয়ালিভাবে (বিচারিক আদালত) এ রায় দিয়েছেন, যেটা উচিত নয়। আরো সাবধানতার সঙ্গে সাক্ষ্য-প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং আইনকে যথাযথভাবে বিবেচনায় রেখে এ ধরনের মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালত তাগিদ দিয়েছেন। যে তিন আসামির মৃত্যুদন্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন- কামরুল হাসান প্রকাশ ওরফে সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন প্রকাশ এল জি কামাল। এছাড়া আবদুস সবুরকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। হাইকোর্টে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- মোফাজ্জেল হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, সামছুদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, জাফর হোসেন, আলী আকবর, নাসির উদ্দিন ও আবু ইউছুফ। ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, রনায়াখালীন ব্যবসায়ী ও রদাকান কর্মচারীকে হত্যা মামলায় ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ১২ জনকে মৃত্যুদন্ড দেন নোয়াখালীর দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে ১০ আসামিকে। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদন্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৭ সালের ১ ফেব্রæয়ারি রাতে নোয়াখালী শহরের জামে মসজিদ মোড় এলাকার মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ করে দুই ভাই ফিরোজ কবির, সামছুল কবির এবং দোকান কর্মচারী সুমন পাল বাসায় ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পোল এলাকায় তারা ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতেরা তিনজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, প্রি-পেইড কার্ডসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক সুমন পালকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ফিরোজ কবির ও সামছুল কবিরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফিরোজ কবির। পরে ২০০৭ সালের ২ ফেব্রæয়ারি ফিরোজ কবিরের বাবা আবু বকর ছিদ্দিক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে সুধারাম থানায় মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।