মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যায় জড়িত বলে সন্দেহভাজন একজন সউদী নাগরিককে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্যারিসের চালর্স দ্য গল বিমানবন্দরে খালেদ আয়েধ আল-ওতাইবি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আল-ওতাইবিকে রিয়াদগামী বিমানে ওঠার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তুরস্কে প্রত্যর্পন করা হতে পারে। জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনায় যে ২৬জন সউদীকে তুরস্ক সরকার খুঁজছিল, মি. আল-ওতাইবি তাদের একজন। সউদী রাজপরিবারের সাবেক রক্ষী ৩৩ বছর বয়সী মি. আল-ওতাইবি তার নিজের পরিচয়ে ভ্রমণ করছিলেন। আরটিএল রেডিও খবর দয়েছে তাকে বিচারবিভাগের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সউদী সরকারের কড়া সমালোচক মি. খাসোগজিকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ইস্তানবুলের সউদী দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়। সউদী আরব জানিয়েছিল ওয়াশিংটন পোস্টের এই সাবেক সাংবাদিক একদল গুপ্তচরের "বেপরোয়া অভিযান"এ নিহত হন। তাদের বক্তব্য ছিল ওই গুপ্তচরদের পাঠানো হয়েছিল মি. খাসোগজিকে সউদী আরবে ফিরতে রাজি করনোর জন্য।
কিন্তু তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেন ওই গুপ্তচররা সউদী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এই হত্যার ঘটনা বিশ্ব জুড়ে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং এই ঘটনায় সউদী আরবের পরোক্ষ শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাবমূর্তি ধুলিসাৎ হয়েছিল।
সউদী আরবের একটি আদালত ২০১৯ সালে আটজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরিভাবে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। অন্য তিন আসামীকে এই অপরাধ গোপন করার দায়ে সাত থেকে দশ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
সউদী বিচারকে সেসময় জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার অ্যাগনেস ক্যালামার্ড একে "ন্যায়বিচার বিরোধী" বলে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন যে জামাল খাসোগজিকে " উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সুপরিকল্পিতভাবে " খুন করা হয়, যার জন্য সউদী আরব রাষ্ট্র দায়ী। মিজ ক্যালামার্ড ২০১৯ সালে এক রিপোর্টে বলেন যে সউদী কৌঁসুলিরা মি. খাসোগজির হত্যার ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে মি. আল-ওতাইবি-কে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না আনার সিদ্ধান্ত তারা নেন। তবে আল-ওতাইবি-র বিরুদ্ধে তুরস্কে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে এবং এই হত্যার অভিযোগে ইস্তানবুলে তার অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।